এ দিন বিধাননগর এমপি এমএলএ বিশেষ আদালতে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী সকাল সাতটার আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বের করা হয়। যদিও তাঁর শরীর যে খারাপ তা ফের জানিয়েছেন অনুব্রত৷ একই সঙ্গে জেলে যে তাঁর মন ভাল নেই, তাও ধরা পড়েছে কেষ্টর কথায়৷ অনুব্রত প্রথমে বলেন, 'ভাল আছি৷' তার পরেই নিউজ এইট্টিন বাংলার পক্ষ থেকেপ্রশ্ন করা হয়, 'শরীর ভল আছে?' অনুব্রতর সংক্ষিপ্ত জবাব, 'তাই থাকে?'
advertisement
আরও পড়ুন: 'বাড়ির লোক কোটি কোটি কামিয়েছে', মমতাকে বেনজির আক্রমণে দিলীপ! চরম হুঁশিয়ারি
এর পর অনুব্রত মণ্ডলকে বলা হয়, কর্মীদের উদ্দেশে কী বলবেন? অনুব্রত বলেন, 'কর্মীদের বলব তাঁদের কাজ তারা করুক।ট অর্থাৎ তিনি যেন বোঝাতে চাইলেন, তাঁকে নিয়ে বিশেষ ভাবিত হওয়ার কিছু নেই। কর্মীরা তাঁদের দলীয় কাজ চালিয়ে যাক। 'দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলবেন?' এই প্রশ্নের উত্তরে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অনুব্রত মণ্ডল।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে একটি রাজনৈতিক হিংসা মামলায় তাঁকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিধান নগর এমপি এমএ এ বিশেষ আদালতের বিচারক। সেই মামলায় হাজির করার জন্যই এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বিধান নগরের ওই বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেয় পুলিশ।
বেলা ১১টার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে বিধান নগর এমপি এমএলএ বিশেষ আদালতে হাজির করার প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ। সেই মতো দ্রুত গতিতে অনুব্রতকে নিয়ে আসানসোল থেকে বিধাননগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। সকাল সাড়ে পাঁচটাতেই আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের এক্কেবারে বাইরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল। ছ'টা বাজার পর পরই পুলিশ আধিকারিকরা সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন। ছিল কমব্যাট ফোর্স ও। পাঁচটি গাড়ির কনভয়ের মাঝে অনুব্রত মণ্ডলকে একটি গাড়িতে রাখা হয়েছিল। সকাল আটটা বাজার আগেই দুর্গাপুর পার করে যায় পুলিশের বিশেষ কনভয়।
