খাতায়-কলমে কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষক থাকলেও, আসেন মাত্র ৪ জন। ২ জন কখনও স্কুলেই আসতেন না, এমনই দাবি।সুকন্যা ২০১২ সালে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হন। চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার বছরে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলেই অভিযোগ। কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং পিএ অর্ক দত্ত খাতায় কলমে শিক্ষক হিসেবে নিয়ুক্ত। অথচ স্কুলের কেউ সুকন্যাকে দেখেননি কখনও। পরিচয়ও নেই কারও সঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট লেনদেনেও শতাংশের খেলা, ধরা পড়ে গেল অনুব্রতর কৌশল-কেরামতি!
আরও পড়ুন: কলকাতায় ৩০টি জায়গায় আয়কর হানা! শহরজুড়ে তুমুল তল্লাশিতে দেড়শো আধিকারিক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, বীরভূমে কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাস গেলে সুকন্যা কাছে পৌঁছে দেওয়া হত হাজিরার খাতা। সেখানে সই করেই মাস মাহিনা পেতেন স্কুলে না এসেই। ওয়াকিবহল মহলের প্রশ্ন, এমন ঘটনা বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকলেও দিকেন কোনও পদক্ষেপ নেননি প্রধান শিক্ষিকা তনুশ্রী মণ্ডল ঘোষ। উল্লেখ্য, কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ছ'জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যেব দু'জন জন পুরুষ অর্ক দত্তকে ধরলে এবং সুকন্যাকে ধরলে চারজন মহিলা। কিন্তু খাতায় কলমে আসেন মোট চারজন।
প্রসঙ্গত, এক মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং আত্মীয় আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন টেট পরীক্ষা পাশ না করেই চাকরিতে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে। এরপরে কলকাতা হাইকোর্ট আজ বৃহস্পতিবার সুকন্যা-সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। সুকন্যা হাজিরা দিতে হাইকোর্টে পৌঁছেছেন ইতিমধ্যেই।
Arpita Hazra
