সুকন্যার তরফে এবার সেই আয় ব্যয়ের হিসবের নথি ডকুমেন্টস জমা দিয়েছেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। সুকন্যার নামে রাইস মিল, কোম্পানি, জমি, সম্পত্তির বিস্তারিত নথি চেয়ে পাঠায় সিবিআই। কারণ সুকন্যা একজন প্রাথমিক শিক্ষিকা, তাঁর নামে বিপুল সম্পত্তি কীভাবে? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই৷
আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টে বিরাট স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের! 'অনুদান' মামলায় হস্তক্ষেপ নয় আদালতের
advertisement
তাই তাঁর আয়ের উৎস ও ব্যয়ের হিসাব চেয়ে পাঠানো হয়। সুকন্যার তরফে আয়কর রিটার্ন, বিভিন্ন নথি জমা দেওয়া হয়েছে। সুকন্যার যাবতীয় আয় ব্যয়ের হিসাব দেখে সিবিআই সিদ্ধান্ত নেবে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না। সুকন্যার আয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি সামঞ্জস্যহীন কি না, তা খতিয়ে দেখতে এবার আয় ব্যয়ের নথি যাচাই করে দেখছে সিবিআই।
কিছু দিন আগে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি আয় ব্যয়ের যাবতীয় হিসেব দেখেন৷ সিবিআই কর্তাদের বেশিরভাগ প্রশ্নে, সুকন্যা উত্তর হ্যাঁ বা না- তে দিয়েছিলেন। এর পরই সিবিআই অধিকারিকরা নোটিস দেয় সুকন্যাকে।
সুকন্যা ও তাঁর মা ছবি মণ্ডলের নামে ভোলে ব্যোম রাইস মিল রয়েছে। এই রাইস মিলের পূর্বতন মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অভিযোগ, কম দামে রাইস মিল হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সিবিআই পূর্বতন মালিকের বয়ান রেকর্ড করেছিল। সুকন্যার সংস্থার হিসাবনিকাশ দেখতেন অনুব্রতর সিএ মণিশ কোঠারি। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছে সিবিআই। সুকন্যার নামে সংস্থা, রাইস মিল ছাড়াও একাধিক জমিও আছি, দাবি সিবিআইয়ের।ভারত সেবাশ্রমের জমি অনুব্রত কন্যা সুকন্যার কোম্পানির ডিরেক্টর বিদ্যুত বরণ গাযেনের নামে রয়েছে। শ্রীনিকেতনে সাড়ে চার বিঘে বিপুল মূল্যবান কিনেছিলেন মাত্র ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকায়।
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননার অভিযোগ, অভিষেকের শ্যালিকার মামলায় ইডি-র হলফনামা তলব
এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি সংস্থারও খোঁজ পায় সিবিআই৷৷ ওই সংস্থারও ডিরেক্টর অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। এটিও অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সংস্থা। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ভারত সেবাশ্রমের জমিও বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে কিনে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ সেই তথ্য যাচাই করতে আশ্রমের মহারাজের সঙ্গে কথা বলতে সিবিআই কর্তারা ভারত সেবাশ্রমেও গিয়েছিলেন। শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা সচিন্ত্যকুমার চট্টোপাধ্যায় ওই জমি দান করেছিলেন ভারত সেবাশ্রমকে । বোলপুর ব্লকের সুরুল মৌজায় ছিল জমিটি৷ দান করা হয়েছিল ভারত সেবাশ্রম মুলুক শাখাকে।
বিদ্যুৎবরণ বোলপুর পুরসভার স্থায়ী কর্মী। গত বছর একুশে অক্টোবর এই জমি ভারত সেবাশ্রম বোলপুর শাখার সভাপতি স্বামী সংঘমিত্রানন্দ শান্তি মহারাজ বিক্রি করেন বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েন একজন পুরসভার সাধারণ কর্মী। তিনি এত বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে জমি কিনলেন কীভাবে ? পাশাপাশি আরও প্রশ্ন উঠছে কোটি কোটি টাকার বাজারের মূল্যর জমি মাত্র এক কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল কেন? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই৷