আদালতের এই রায়ের পরে গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র এবার চলে যাবে দিল্লিতে। অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলার পরবর্তী শুনানিগুলিও হবে সেখানেই। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী থেকে মামলার সাক্ষী, সবাইকেই এবার দিল্লি যেতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রচাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই৷ তারপরে গত বছরেরই নভেম্বর মাসে জেলবন্দি অনুব্রতকে ফের গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেড বা ইডি৷ এরপরে কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে অবশেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতের ঠাঁই হয় দিল্লির তিহাড় জেলে৷ গ্রেফতার হন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও৷
advertisement
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। তদন্তের স্বার্থে সেই মামলাটি দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল ইডির তরফ থেকে। গত জুলাই মাসে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জমা পড়েছিল। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দু’বার শুনানি হয়ে গিয়েছে। তারপর এদিন বুধবার দু’পক্ষের সাওয়াল – জবাব শুনে বিচারক মামলাটির সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তবে, সূত্রের খবর, বিশেষ সিবিআই আদালতের এই রায়ের পরে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। কিন্তু, বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি বলেছেন, ‘‘উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ দুই পক্ষের কাছেই রয়েছে। তবে দু’পাতার একটি অর্ডার দিয়েছেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। সেই অর্ডারটি বিস্তারিতভাবে দেখার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
প্রসঙ্গত, এই মামলাটি সরিয়ে নিয়ে গেলে সকলের অসুবিধা হবে, এই তত্ত্ব বারবার উঠে আসছিল। যদি মামলাটি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেখানে ইডির মামলাটি চলবে। পাশাপাশি, সেখানেই চলবে সিবিআই-এর দায়ের করা মামলাটিও। ফলে দিল্লির আদালতে যদি এই মামলার শুনানি হয়, তাহলে সাক্ষী থেকে আইনজীবী – সকলকেই সেই আদালতে যেতে হবে। এমনকি, এই মামলায় যদি নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা হয়, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তকে নিয়ে যেতে হবে দিল্লি।
Nayan Ghosh