বিচারককে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ‘আমার ন মাস হয়ে গেল। আমাকে জামিন দিন। হাত পায়ে ব্যালেন্স পাচ্ছি না। অসহ্য যন্ত্রণা। হাই সুগার।’ তবে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে এদিন বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন করে যাত্রা শুরুর দিনই ফের করমণ্ডলে ‘বিপর্যয়’, হাসফাঁস অবস্থা যাত্রীদের! কী এমন ঘটল?
advertisement
বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের একটি বিশেষ মামলার শুনানি হয়। সোনা রুপোর গহনা সংক্রান্ত মামলার বিশেষ শুনানি হয়েছে এদিন। উল্লেখ্য, তল্লাশি সময় সাইগল হোসেনের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনা এবং রুপোর গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। যার মূল্য ৩৬ লক্ষ টাকারও বেশি।
এদিন এই প্রশ্নই করেছিলেন বিচারক। তখন সাইগল হোসেনের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেলের স্ত্রী ২০১৪ সালের টেট পাস করে শিক্ষিকার চাকরি পান। সেই টাকা থেকেই গয়না কিনেছেন। প্রত্যুত্তরে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, উনি কি এতদিনে ৩৬ লক্ষ টাকা মাইনে পেয়েছেন? একই সঙ্গে বিচারক প্রশ্ন করেন, উনি কি খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে শুধুই গয়না কিনেছেন?
আরও পড়ুন: কুন্তলের থেকে মিলেছিল সূত্র, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে রেখে হানা সিবিআই-এর!
যদিও সিবিআই আদালতের বিচারপতি এদিন সাইগল হোসেনের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা পুরনো গয়না ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৯০০০০ টাকা। অন্যদিকে সিবিআই মোট যে পরিমাণ সোনা ও রুপোর গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল, তার মূল্য ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকা।
একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কাতর আর্জি শুনে, তাকেও আইনি পরামর্শ দিয়েছেন বিচারক। বলেছেন আপনার মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। তাই আপনার আইনজীবীকে বলুন উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে। তারপর এখানে জামিনের আবেদন করবেন। প্রসঙ্গত এদিন অনুব্রত মণ্ডল বা সাইগল হোসেন, কারও আইনজীবী তাদের মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করেননি। কোনও বিরোধিতা করেননি সিবিআই-এর আইনজীবী। দু পক্ষের কথা শোনার পর বিচারক এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করেছেন ৩০ জুন।
—— Nayan Ghosh