আজ হেলিকপ্টারেই মালদহ পৌঁছনোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)৷ কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারের বদলে ট্রেনে মুখ্যমন্ত্রী মালদহ যাবেন বলে ঠিক হয়৷ সেই মতো এ দিন হাওড়া- মালদহ জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে এ দিন মালদহ রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিকেল চারটে নাগাদ বোলপুর স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেন৷
আরও পড়ুন: কলকাতায় চাই সবুজ-ঝড়, দুদিনেই 'গুরুদায়িত্ব' সামলাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই বোলপুর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ সঙ্গে এসেছিলেন তৃণমূলের বহু কর্মী, সমর্থক৷ এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, এসপি নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী৷
ট্রেন বোলপুরে এসে থামলে কামরার দরজার সামনে এসে দাঁড়ান মমতা৷ তাঁকে দেখেই স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা৷ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত৷ মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তাঁর পছন্দের চপ, মুড়ি নিয়ে এসেছিলেন অনুব্রত৷ এ ছাড়াও ছিল মিষ্টি৷ ট্রেনে সেসব তুলে দেওয়া হয়৷ অনুব্রতর পাশাপাশি পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: ট্রেন-সফরে মুখ্যমন্ত্রী, মালদহের জন্য রয়েছে বড় চমক!
মুখ্যমন্ত্রী যখনই বীরভূম সফরে আসেন, তাঁর মেনুতে থাকে চপ মুড়ি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠরা অনেকেই জানেন মুড়ির সঙ্গে তেলেভাজা খেতে যথেষ্টই পছন্দ করেন তিনি৷ ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় তাঁর পছন্দের চপ, মুড়ি আনতে ভোলেননি অনুব্রত৷
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর অনুব্রত বলেন, 'তিনি যেমন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের দলনেত্রীও৷ তাই তিনি বোলপুরের দিয়ে গেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করাটা আমাদের দায়িত্ব৷' অনুব্রত অবশ্য জানিয়েছেন, ছোট্ট সাক্ষাতে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কুশল বিনিময় ছাড়া বিশেষ কোনও কথা হয়নি৷
Indrajit Ruj