যুদ্ধ শুরু হওয়ায় তার বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও করোনা অতিমারির ফলে ক্লাস হচ্ছে না, হোস্টেলে থেকেই অনলাইনে ক্লাস করছিলেন নিশা। যুদ্ধের আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় বাড়ির সকলেই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। নিশা কবে বাড়ি ফিরবেন সেই নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে গোটা পরিবার। মাঝে মাঝে ভিডিওকলে কথা হচ্ছে। চোখে জল নিয়েই মা জিজ্ঞাসা করছেন, মেয়ে খেয়েছে কি না, কেমন আছে (War In Ukraine) ।
advertisement
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে শীঘ্রই তাঁকে ফিরিয়ে আনার। বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। নিশার মা,বাবা,দিদি খুবই চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এবং নিশার পরিবারের তরফ থেকে কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে লিখিতভাবে আবেদন করা হয় তাদের মেয়েকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য (War In Ukraine) । নিশার মা ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান রত্না বিশ্বাস বলেছেন, সব সময় তিনি পরিবারের পাশে থাকবেন, দরকার পড়লে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য চালু হল হেল্পলাইন, জানাল বিদেশমন্ত্রক
ইউক্রেনে (War In Ukraine) আটকে থাকা বেশ কয়েকজন ভারতীয়ের মধ্যে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা, গোবরডাঙ্গার স্বাগতা সাধুখাঁও। তাই স্বাগতাকে নিয়ে এখন যত চিন্তা পরিবারের মানুষের। তাঁরা চাইছেন, যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসতে পারে মেয়ে। যুদ্ধের মধ্যে যেন তাঁকে পড়তে না হয়।
আরও পড়ুন : মোদির কথা শুনে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে রাশিয়া, ভারতকে অনুরোধ ইউক্রেনের
পরিবার সূত্রে খবর, গোবরডাঙ্গা গার্লস হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন স্বাগতা। বাবা দেবাশিস সাধুখাঁ, মা রাজ্যশ্রী সাধুখাঁ। বাড়ি বেরগুম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, নকপুল লক্ষীপুর। বাবা দেবাশিস বানিপুর হোম-এর সুপারভাইজার,মা গৃহবধূ। তিন বছর আগে ইউক্রেনে ডাক্তারি পডতে যান স্বাগতা। রুশ আগ্রাসনের জেরে ইউক্রেনের কিয়েভে আটকে পড়া বহু ভারতীয়ের তালিকায় রয়েছেন তিনিও।
রুদ্র নারায়ন রায়