রাজ্যের প্রতিটি জেলার সদর শহরে হরিণঘাটা মিটের নিজস্ব স্টল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাণিসম্পদ দফতর। জেলার বাসিন্দাদের ন্যায্য মূল্যে মাংস পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজ্যে এখন প্রায় ৭০০টি স্টল রয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে কনকনে ঠান্ডা বাংলায়! বৃষ্টির পূর্বাভাস কোথায়, জানুন আবহাওয়ার আপডেট
প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিণঘাটা স্টলে প্রি-কাট চিকেন, ড্রামস্টিক, বোনলেস চিকেন-সহ বিভিন্ন ধরনের মাংস পাওয়া যাবে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এই স্টল রয়েছে। আগামী দিনে জেলাগুলিতেও এই স্টলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, এই স্টলগুলি থেকে ক্রেতারা নিজেদের পছন্দমতো মাংস কিনতে পারবেন। তা ছাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজের খুশি মতো দামে মাংস বিক্রি করেন। ক্রেতারা সেটা কিনতে বাধ্য থাকেন। স্টল চালু হলে সেটা হবে না।
advertisement
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ''মাংস উৎপাদনে এখন আমরা অনেক স্বনির্ভর। এছাড়া ডিম উৎপাদনও বেড়েছে। এখন বছরে ১২০৩ কোটি ডিম রাজ্যে উৎপাদন হয়। ২৩৭ কোটি ডিম বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। আগে আরও বেশি ডিম আমদানি করতে হত। কয়েক বছরের মধ্যে সেই ঘাটতি মিটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলা ডেয়ারির স্টলও সব জেলাতেই তৈরি করা হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশেও মাংস পাঠানো হয়।''
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ চাষে রাজ্য়ের চাষিদের উৎসাহ, বড় উদ্য়োগ বর্ধমানে! নিয়ন্ত্রণে থাকবে দামও
মন্ত্রীর কথায়, ''হাঁস, মুরগি চাষ করে অনেকেই স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে পোলট্রি ফার্ম অনেক বেড়েছে। যুবক-যুবতীদের আগামী দিনে আরও বেশি উৎসাহিত করা হবে। বিনামূল্যে হাঁস, ছাগল, মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করা হয়। হরিণঘাটা মিটের স্টলগুলি চালু হলে সেখানে অনেকে কাজ পাবেন। বাসিন্দারাও সস্তায় বিভিন্ন মাংস কিনতে পারবেন।''