দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে ভিড়িঙ্গী শ্মশানকালী মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৮৫২ সালে অর্থাৎ বাংলার ১২৯৯ সালে।মন্দির সূত্রে জানা যায়, নাগাসন্ন্যাসী তুলসীদাস গোঁসাই বাবার নির্দেশ করা পথে সিদ্ধতান্ত্রিক গুরুদেব অক্ষয়কুমার রায় মহাশয় পঞ্চমুণ্ডী আসনে জগৎজননী “মা” কে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় মায়ের প্রথম মৃন্ময়ী মূর্তি গড়েছিলেন উপেন ও ব্রজ সূত্রধর। আজও মা সেই একই রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। মা সদানন্দময়ী মন্দিরে বহু সাধু-সন্ন্যাসী, গুপ্তযোগী, গৃহীযোগী, এসেছেন ও অবস্থান করেছেন। অনেকেরই দেহ পঞ্চভূতে লীন হয়েছে মায়ের এই মন্দিরে। প্রতিদিন বহু দর্শনার্থী-ভক্ত-সন্তানগণ এই জাগ্রত সদানন্দময়ী মাকে দর্শন করতে আসেন।
advertisement
তবে এমন ঐতিহাসিক একটি মন্দিরে এই দীপাবলি কালীপুজোর রাতে কোনও জাঁকজমক থাকেনা। কারণ এই মন্দিরে মহা ধুমধাম ও আড়ম্বরের সহিত পুজো হয় বাংলার অগ্রহায়ণ মাসে৷ তখন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় মন্দিরে। প্রতিবছরই অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় এই মন্দিরের বার্ষিক পুজো হয়। এটি কেবল ধর্মীয় স্থানই নয়,দুর্গাপুরের এক অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে ভিড়িঙ্গী শ্মশান কালী মন্দিরের। চারপাশে ব্যস্ত বাজার হলেও মন্দিরে বিরাজ করে অদ্ভুত শান্তি ও নিস্তব্ধতা।প্রতি বছরই অগ্রহায়ণ মাসের মহানিশায় ভিড়িঙ্গী কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসে পুরাতন মা কালীর মৃন্ময়ী মূর্তির বিসর্জন হয় মন্দিরের পাশের প্রাচীন কুমোর বাঁধে। আর নতুন মৃন্ময়ী মায়ের মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভক্তদের কাছে দেবী সদা করুণাময়ী।