বিভিন্ন প্রতিমাকে নিজের হাতে তৈরি করে সেই ঠাকুরকে হাত-পা নেড়ে কথা বলিয়ে জীবন্ত করে তোলেন তিনি। উৎসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পুতুল নাচের অনুষ্ঠান হয়। কোথাও পুতুল নিজে কথা বলছে আবার কোথাও নাচ গান করে আনন্দ দেয়। তবে এখানে কোন পুতুল নয়, দেবদেবী ও মহাপুরুষদের মুর্তি পুতুলের মতই হাত পা নেড়ে কথা বলে। এ এক প্রাচীন বাংলার শিল্পকলা, তাকে আঁকড়েই বেঁচে আছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই শিল্পী।
advertisement
আরও পড়ুন: চিরাচরিত নয় কারুকার্য করা প্রদীপেই মজেছে বাঙালি
এই প্রাচীন শিল্পকলার শো এর দুর্গাপুজাতে চাহিদা থাকলেও শ্যামা পুজাতে চাহিদা অনেক গুণ বেশি থাকে। আর তাই এখন দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই জোর কদমে তার প্রতিমার তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজে চরম ব্যস্ততা চোখে পড়েছে। এই শিল্পী তিনি নিজের হাতে তৈরি করে প্রতিমার বিভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তোলে। যেমন সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষকে উন্নততর করতে এই প্রতিমার মাধ্যম দিয়ে দর্শকদের সামনে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিমাতে সচেতনতার বার্তাও তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙনে খেয়াঘাট, দোকানঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা গোসাবায়
তার পাশাপাশি বিভিন্ন দেব-দেবীর পৌরাণিক কাহিনীর তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করে। এছাড়া বর্তমান সমাজের বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রচার মানুষের মধ্যে উদ্ভাসিত করে। এই কর্মকাণ্ড থেকে তার অধিক উপার্জন না হলেও তার পূর্বপুরুষের মহৎ এই শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষের মধ্যে শিক্ষা এবং সচেতনতার বার্তা বহন করাই তার মুখ্য উদ্দেশ্য।
সুমন সাহা