বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা সামাদ আলী মাত্র ১৩ বছর বয়সে দাদু হাজী রহমত শেখ-এর কাছ থেকে জন্মদিনের উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন এই ঘড়িটি, আজও সযত্নে আগলে রেখেছেন। বাড়ির দেওয়ালে আজও ঝুলছে ঘড়িটি। নিয়ম করে বেজে ওঠে ঘণ্টা। প্রয়োজন নেই কোনও ব্যাটারির। ১ টা বাজলে একটি ঘণ্টা, ২টো বাজলে দুটি ঘণ্টা এমন ভাবেই সময় দেখায় ঘড়িটি। অন্যদিকে ১টা ৩০ বাজলে একটি ঘণ্টা ২টো ৩০ বাজলেও একটি ঘণ্টা বেজে ওঠে।
advertisement
সামাদ আলী বলেন, আজ পর্যন্ত ঘড়িটি একবারও খারাপ হয়নি। ১০০ বছরের পুরনো ঘড়ি দেখতে বাড়িতে ভিড় জমান বহ মানুষ। অনেকেই ঘড়ির সঙ্গে সেলফি তোলেন। সামাদ আলী জানান, দাদু তাকে প্রায়ই নানা ধরনের অ্যান্টিক জিনিস উপহার দিতেন। বর্তমানে সামাদ আলীর বয়স প্রায় ৭৬ এর কাছাকাছি।
কী ভাবে চলছে ঘড়িটি? ঘড়ির কোনও ব্যাটারি নেই। একটি চাবির মাধ্যমে ঘড়ির দুই দিকে দম দিতে হয় বেশ কয়েক মিনিট। একবার পুরো দম দিলেই পাক্কা তিন মাস সময় দেখায় ঘড়িটি। যখন ঘড়িটি সময় দেখান বন্ধ করে দেয়, বুঝে নিতে হবে ঘড়ির ফের দম প্রয়োজন।