প্রয়াগরাজে গিয়ে আর স্মৃতি নিয়ে ফেরা হল না বাড়ি। অত্যাধিক ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। যে আশা নিয়ে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন, সেই আশা যেন গাঢ় অন্ধকারে পরিণত হল মৌনী অমাবস্যায়।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় চোখে জল পরিবারের। বড় আশা নিয়ে মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে পুণ্য লাভের আশায় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় গিয়েছিলেন এই বৃদ্ধা। খড়গপুরের মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে প্রয়াগরাজ পাড়ি দিয়েছিলেন শালবনীর বৃদ্ধা।
advertisement
আরও পড়ুন- এবার বাড়িতে বসেই অনলাইনে কাটা যাবে ভেসেলের টিকিট, ব্যবস্থা ডায়মন্ড হারবারে
মহাকুম্ভ মেলায় পৌঁছেও গিয়েছিলেন। তবে, পুণ্যস্নানের সাধ আর পূর্ণ হল না! পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের গোদাপিয়াশাল সংলগ্ন কাছারিরোড এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা ভূঁইয়া (৭৮)-র। অত্যাধিক ভিড়ের চাপে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে প্রয়াগরাজে। মৃত্যু হয় বহু পুণ্যার্থীর। যার মধ্যে দেখরে প্রাণ হারান পশ্চিম মেদিনীপুরের এই বৃদ্ধা।
বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে অবস্থিত মতিলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজের মর্গে গিয়ে তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে চোখে জল পরিবারের। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকজন।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর দেহ আসবে খড়্গপুর শহরে। সেখান থেকে যাবে শালবনীর বাড়িতে। প্রসঙ্গত খড়গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে ছিলেন শালবনীর এই বৃদ্ধা। সঙ্গে ছিল মেয়ে এবং জামাই।
পুণ্যস্নানের সেই আশা কার্যত নিরাশায়পরিণত হল। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন থেকে প্রয়াগরাজ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন খড়্গপুর শহরের কৌশল্যার বাসিন্দা কমল মাইতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, মা, শাশুড়ি (উর্মিলা ভূঁইয়া) সহ মোট ৭ জন।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনা এড়াতে লোকো পাইলটদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ভারতীয় রেলের
ভিড়ের মাঝে পড়ে গিয়ে বৃদ্ধা উর্মিলা ভূঁইয়া পদপিষ্ট হন বলে আত্মীয়রা জানিয়েছেন। বুধবার রাতে খড়্গপুরে কমল মাইতির ছেলে অভিজিৎ মাইতি বলেন, মা-বাবা, মেসো-মাসি, দিদা, ঠাকুমা, মামিমা এবং আমার এক বোন সোমবার বিকেলে ট্রেনে করে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন খড়্গপুর স্টেশন থেকে।
মঙ্গলবার প্রয়াগরাজ স্টেশন থেকে নেমে, হেঁটে ওঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে। সেখানেই রাতে ছিলেন। আর ভোরে পুণ্য স্নানে বেরিয়ে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। বৃদ্ধাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার।
রঞ্জন চন্দ