রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, সারাদেশে ১৩০৯ টি রেলওয়ে স্টেশনকে চিহ্নিতকরণ করেন, পুনর্নির্মাণ করে অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের সিটি সেন্টারে পরিণত করার উদ্দেশ্যে। তার মধ্যে বাংলার ৯৮ টি রেলস্টেশন আছে।
আরও পড়ুন: আজ কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? কবে ছাড়া পাবেন? আজ দুপুরে সিদ্ধান্ত
সারা দেশের ২৭ টি রাজ্যের মোট ৫০৮ টি রেল স্টেশন এই অমৃত ভারত প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলার মোট ৩৭ টি স্টেশন আছে। নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরি, কৃষ্ণনগর সিটি, নবদ্বীপ ধাম এবং শান্তিপুর স্টেশন এই তালিকায় জায়গা পেয়েছে। এই কাজের জন্য রেল মন্ত্র মোট ব্যয় ধরেছে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা।
advertisement
এই স্টেশনগুলো বিশ্বমানের গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ শেষ হলে এখানে থাকবে ফুট ওভারব্রিজ, এস্কেলেটরের মত চলাচলের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। এছাড়াও অমৃত ভারত প্রকল্পে জায়গা পাওয়া প্রতিটি রেল স্টেশন চত্বর ফ্রি ফাইভ-জি ওয়াইফাই জোন হিসেবে গড়ে উঠবে। স্টেশনে বড় আকৃতির এলইডি স্ক্রিন, টিকিট কাটার স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন ইত্যাদি থাকবে। এছাড়াও এই নির্বাচিত স্টেশনগুলির অতিরিক্ত জমি কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে। তার জন্য স্টেশন ভবনের দ্বি-তলে রেল বেশ কিছু দোকান তৈরি করে দেবে। যা স্থানীয় কর্মসংস্থানের সহায়ক হবে বলে কেন্দ্রের দাবি।
আরও পড়ুন: ‘৪ দিন চালের গুদামে কাটিয়েছি’, অভিনেতা মদন মিত্রের নয়া অভিজ্ঞতা চমকে দেবে
স্টেশনে আসা এবং যাওয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহন পার্কিং, প্রয়োজন মাফিক আন্ডার পাস, যাত্রী সুরক্ষার বিভিন্ন অফিস এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সহ বিনোদন, শিশুদের বিশেষ প্রতীক্ষালয়, দিব্যাঙ্গদের বিশেষ ব্যবস্থা এই সবই নির্মাণ হতে চলেছে। তবে এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বলেই জানা গিয়েছে রেলের সূত্র মারফত।
মৈনাক দেবনাথ