শিক্ষাদান করাই যাঁদের কাজ। তা শুধু পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করা নয়। কার্যত সেটাই বুঝিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার অলোক মাইতি এবং ভাস্করব্রত পতি নামে দুই শিক্ষক। তাঁদের হাতে চক-ডাস্টারের বদলে ক্লিনিং ব্রাশ। গলায় ঝোলানো সচেতনতার পোস্টার। সেখানে লেখা ‘খৈনি, গুটখা, পানের পিক। যারা ফেলে তাদের ধিক।’ এ বার তাঁরা নিজেরাই স্টেশন চত্বরের নানা জায়গার পান ও গুটখার দাগ মুছতে শুরু করলেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড দেখে অবাক রেলযাত্রীরা। কথায় আছে শিক্ষক গড়ার কারিগর। আর সেই কথা কি যেন আবারও একবার প্রমাণ করলেন পাঁশকুড়ার এই দুই শিক্ষক।
advertisement
আরও পড়ুন: গরম পড়লেই বাঙালিদের দই মাস্ট! আর এই দইয়ের পাত্রের সঙ্গে জড়িয়ে এই গ্রাম, না জানলে মিস
অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পাঁশকুড়া স্টেশনে ঝাঁ চকচকে একটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। ফুটওভার ব্রিজ পরিষ্কার রাখার জন্য রেলের তরফে সচেতনতার বোর্ডও লাগানো আছে। নতুন ফুটওভার ব্রিজ তৈরি হওয়ার পর পান ও গুটখার পিকে লাল হয়ে গিয়েছে নতুন ফুটওভার ব্রিজের দেওয়াল ও মেঝে। আর প্রতিদিন এই ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করছে হাজার হাজার মানুষ। সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে করতে বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে। তাই সাধারণ রেল যাত্রীকে সচেতনতার পাঠ দিতে এগিয়ে আসেন এই দুই শিক্ষক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাঁশকুড়া এলাকার পরিচিত দুই শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে অবাক নিত্যযাত্রীরা। ভাস্করব্রত বলেন, “পাঁশকুড়া স্টেশনে পানের পিক সাফ করার কাজ শুরু করলাম। ভবিষ্যতে ছুটির দিনগুলোয় অন্য স্টেশনেও এই কাজ করব। শুধুমাত্র সাফাইয়ের লক্ষ্যে আমরা এই কাজ করছি না। আমাদের লক্ষ্য সচেতনতা গড়ে তোলা। রেলযাত্রীদের মধ্যে যদি এতটুকুও সচেতনতা গড়ে ওঠে তবেই এই কাজ সার্থক হবে।” সাফাইয়ের জন্য আগেই কেনা হয় বালতি, জলের ঝাঁজরি, দস্তানা, শ্যাম্পু ও সাবান। হাতে গ্লাভস পরে ব্রাশ দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের দেওয়াল ও মেঝে শ্যাম্পুজল দিয়ে পরিষ্কার করেন ঐ দুই শিক্ষক।
সৈকত শী