পাহাড়ের উপর প্রকৃতির কোলে অবস্থান করা এই মন্দির স্থানীয় মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। বর্তমানে এই মন্দিরের সেবাইত হলেন নয়ন রায়। তাঁর পূর্বপুরুষরাই বহু বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রায় পরিবারের সদস্যরা অগাধ ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই ঐতিহ্য রক্ষা করে আসছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আলোর উৎসবের মাঝে নিভল জীবনের বাতি! প্রাণ হারালেন এনভিএফ কর্মী, বন্ধ বোরো থানার দীপাবলি অনুষ্ঠান
নয়নবাবু জানান, “আমাদের পরিবারের সাত-আট পুরুষ আগের এক পূর্বপুরুষ কালী পাহাড়ের ঘন জঙ্গল থেকে একটি পাথর সংগ্রহ করেন এবং সেই পাথরকেই দেবী কালী রূপে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে সেই পাথরে খোদাই করে নির্মিত হয় দেবীর প্রতিমা। সেখান থেকেই শুরু হয় কালী পাহাড়ের এই মহাপুজো।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরবর্তী সময়ে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয় আজকের এই পাথরখোদাই দেবীর কালীমন্দির। দেবী এখানে দক্ষিণা কালী রূপে বিরাজমান। নয়ন রায় আরও জানান, “আমাদের পূর্বপুরুষরা যেভাবে এই পুজো আরম্ভ করেছিলেন, আজও আমরা সেই পুরনো নিয়ম-নীতি ও প্রথা অক্ষুণ্ণ রেখেই পুজো সম্পন্ন করি।” প্রকৃতির মনোরম সৌন্দর্যে ঘেরা কালী পাহাড় আজও ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্র, যেখানে ঐতিহ্য, ভক্তি ও ইতিহাস একত্রে মিশে আছে অনন্য সুরে।