আজ এলাকাবাসীদের কাছে এই তেঁতুল গাছ ‘বাদুড় গাছ’ নামেই পরিচিত। এই বাদুড় দেখতে পথচলতি মানুষজন তো বটেই এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও প্রতিদিন ভিড় জমান। তাদের কথা, “আমরা প্রতিদিন এই বাদুড় দেখি। খুব ভাল লাগে দেখতে।”
আরও পড়ুন: শূন্য হাতে সঙ্গী শুধু মোবাইল ফোন, ১৬০০ কিমি যাত্রা নদিয়ার যুবকের! লক্ষ্যটা কী? জানুন
advertisement
তবে বহু প্রাচীন এই তেঁতুল গাছে বহু বছর ধরে বাদুড় বসবাস সম্পর্কে সেই রকম ভাবে কেউ কিছু বলতে না পারলেও অনেকেই বলছেন, হয়ত এই তেঁতুল গাছকে তারা বসবাসের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই প্রথম থেকে তারা এখানেই থাকতে পছন্দ করেছে। ধীরে ধীরে হয়েছে বংশবিস্তার বেড়েছে বাদুড়ের সংখ্যাও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুরুলিয়ার ওই এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আহ্লাদ মাহাতো বলেন, “এই গাছটি আমাদের কাছে সত্যিই একটি কৌতুহলী গাছ। একসঙ্গে এত বাদুড়ের বসবাস সাধারণত অন্য কোনও গাছে দেখা যায় না। প্রাচীন তেঁতুল গাছে এই বাদুড় আমরা ছোট থেকেই দেখে আসছি। যার কারণে আজ এই গাছ এলাকায় বাদুড় গাছ নামই পরিচিত।”
সিমলার এই তেঁতুল গাছ আজ প্রমাণ করে, একটি মাত্র গাছ কীভাবে হাজারও প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে। এটি শুধু একটি গাছ নয়, বরং প্রকৃতি ও প্রাণীর সহাবস্থানের এক জীবন্ত নিদর্শন। যেখানে প্রকৃতি এবং প্রাণীরা মিলে এক সুন্দর ভারসাম্য গড়ে তুলেছে।