নিজের ভুল স্বীকার করে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নেন চিকিৎসক । করোনা আক্রান্ত ওই যুবক বলেন, ''পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই আমি এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসার জন্য আসি। কিন্তু আমার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন চিকিৎসক ডাঃ জাহিরুল ইসলাম। আমাকে ঠিকমতো প্রেসক্রিপশন না লিখে ছুড়ে ফেলে দেন। অন্যান্য রোগীদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করছিলেন তিনি। তারপরেই আমি হাসপাতালে বিধায়ক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দেখে তাদের কাছে অভিযোগ জানাই। আমরা চাই সঠিকভাবে সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হোক।''
advertisement
আরও পড়ুন: প্রচারের মাঝেই হঠাৎ এল খবর, তারপর যা করলেন বামপ্রার্থী, কুর্নিশ এলাকাবাসীর...
বিধায়ক অপূর্ব সরকারও বলেন, ''চিকিৎসকদের বলা হয়েছে রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে। বিপর্যয়ের সময় ধৈর্য্যের সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে।'' জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্ন্যাল বলেন, ''হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে অভিযোগ পাই। তখনই ওই চিকিৎসককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সব চিকিৎসকদের বলা হয়েছে সমস্ত রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। সব রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে। যাতে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে কাউকে হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হয়।''
আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই আশাতীত বদল বাংলার আবহাওয়ায়! উত্তর থেকে দক্ষিণ, যা হতে চলেছে...
কংগ্রেস নেতা সফিউল আলম খান বলেন, ''বেশিরভাগ চিকিৎসকই রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেন না, রোগীও দেখেন। না। সিএমওএইচ থাকায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে এল। কিন্তু চিকিৎসা বলে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে কিছুই হয়না।'' বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারব সরকার বলেন, ''চিকিৎসকরা চেম্বারেই ব্যস্ত থাকেন। করোনা রোগীদের ভরসা বলতে ভগবান। কান্দি হাসপাতাল তো দূরের কথা, মেডিক্যাল কলেজে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না। ওই চিকিৎসকে যখন হাতেনাতে ধরা গেল তখন তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।''