রথ পুজোর আগে আগেই আজ অক্ষয় তৃতীযয়ার বিশেষ তিথিতে পুজো-আচ্চা চলে মহিষাদল রাজ পরিবারের কূল-দেবতা গোপালজীউর মন্দিরে। অন্যান্য জায়গার মতো মহিষাদলের রথে জগন্নাথদেবের সঙ্গে বলরাম ও সুভদ্রাকে ওঠানো হয় না। মহিষাদলের রথে ওঠেন রাজ পরিবারের কুল দেবতা গোপালজীউ। তিথি এবং নিয়ম মেনে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন গোপালজীউর মন্দিরে নিয়মনিষ্ঠা মেনেই পুজো হয়। তারপরই রথ পুজো করেন রাজ পরিবারের পুরোহিতরা।
advertisement
আরও পড়ুন Nadia: ইদ আর অক্ষয় তৃতীয়া! জোড়া উৎসবে সকাল থেকেই মাতোয়ারা নদিয়াবাসী
জানা গিয়েছে, ১৭৭৪ সালে রাজবাড়ির এই গোপালজীউর মন্দিরটি স্থাপিত হয়। মন্দির স্থাপনের দু’বছর পর, অর্থাৎ ১৭৭৬ সাল থেকেই রথযাত্রা উৎসবের সূচনা হয়। সেই থেকে টানা চলে আসছে মহিষাদলের রথ। চারের দশকে স্বাধীনতাকালে এক বছর রথ কিছুটা টেনে বন্ধ করে দিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। তার আগে বা পরে কখনই এই প্রাচীণ রথ টানা বন্ধ হয়নি। কিন্তু করোনার কারণে গত দু'বছর রথ টানার নিয়মে ছেদ পড়ে। গত দু’ বছর রথ টানা বন্ধই ছিল। এবার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আবার রথ টানা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। রাজ পরিবারের সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ জানান, সকলের কল্যাণের জন্যই এই ব্যবস্থা৷ তাঁর বাড়ির পুরনো রথ টানার রীতি ফের শুরু হবে এবং এলাকার মানুষ তাতে অংশ নেবেন বলে জানান তিনি৷
আজ,অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য তিথিতেই সেই প্রাক রথ উৎসবের সূচনা হয়। রথ পুজোর সঙ্গে সঙ্গে গোপালজীউ মন্দির এবং রথের মাসি বাড়ি গুন্ডিচাবাটির মন্দিরেও পুজোপাট চলে। এতে অংশ নেন রাজ পরিবারের বর্তমান বংশধর শঙ্কর প্রসাদ গর্গ, হরপ্রসাদ গর্গ সহ মহিলা সদস্যারা। রথ দেখা, কলা বেচার মতো এদিন রাজবাড়ি ঘুরে দেখতে আসা পর্যটকরাও জড়ো হন রথপুজোর অনুষ্ঠানে। রাজ প্রাসাদ ঘুরে দেখার ফাঁকে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে রথের পুজো চাক্ষুষ করতে পেরে খুশি পর্যটকরা।
SUJIT BHOWMIK