দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার কুমোরটুলিতে জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাই পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুনেবাজার এলাকায় এমনই ছবি দেখা গেল।
আরও পড়ুনঃ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টিকর খাবার জোগাবেন উপভোক্তারাই! চালু হয়ে গেল ‘কমিউনিটি বাস্কেট’
পুজোর সময় প্রতিবছর এখান থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গা প্রতিমা পৌঁছে যায়। এমনকি একসময় এই জেলা ছাড়িয়ে পাশের জেলাতেও পাড়ি দিত বিগ বাজেটের সব দুর্গা প্রতিমা। এই বছর দুর্গা প্রতিমার বায়না আগের তুলনায় ভাল আসছে কিন্তু বাধ সেধেছে আবহাওয়া। ফলে পুজোর ঠিক আগে উদ্যোক্তাদের প্রতিমা প্রস্তুত করে ডেলিভারি দেওয়াই এখন চন্দ্রকোনার মৃৎশিল্পীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
advertisement
হাতে আর অল্প সময়। তার আগে প্রতিমা তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। বাঁশের কাঠামো, ছাঁচে মাটি দিয়ে প্রতিমার মুর্তি তৈরি থেকে প্রতিমায় মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ হচ্ছে। বায়না বেশি থাকলেও উদ্যোক্তারা প্রতিমার বাজেট অনেকটাই কাটছাঁট করেছেন। তাঁরা চাইছেন কম বাজেটের প্রতিমা।
আরও পড়ুনঃ ঘুম ভাঙতেই ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’! ভরা ভাদ্রে কাঞ্চন দর্শন, সাতসকালে মন ভালো করা দৃশ্য
সামনেই পুজো হাতে কম সময়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিমা ডেলিভারি দিতে এখন জোর ব্যস্ততা চন্দ্রকোনার কুমোরটুলিতে। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ভাবাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের। বায়না না নিয়েও তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি, বন্যা, নিম্নচাপ- এমন আবহাওয়া লেগেই রয়েছে। এদিকে পুজোয় আর বেশিদিন নেই। তাই সময়ে কাজ শেষ করার তাগিদে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে দুর্গা প্রতিমার বায়না ফিরিয়েও দিতে হচ্ছে চন্দ্রকোনার কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের।
এই বছর প্রতিমার দামে তেমন কোনও হেরফের নেই। প্রতিমার চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ভেবেচিন্তে বায়না নিতে হচ্ছে। চলতি মরসুমের বর্ষায় ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর সহ একাধিক জায়গা বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর জেরে ধান চাষ পিছিয়েছে। সেই সঙ্গেই কুমোরটুলিতে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজও পিছিয়ে গিয়েছে। কারণ চাষ সেরে কুমোরটুলিতে কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকেরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে এই বছর পুজো এগিয়ে এসেছে, হাতে সময় কম। চাহিদা থাকলেও কম অর্ডার নিয়ে সময়ে কাজ শেষ করার তাগিদে কুমোরটুলিতে জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। খড়ের মেড় বাঁধা থেকে মাটি দেওয়ার কাজ হচ্ছে। এর মাঝেই যখন-তখন আসছে বৃষ্টি। সেসব মাথায় নিয়েই প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু এই আবহাওয়ায় কাঁচা প্রতিমা শুকোতে হিমশিম খেতে হবে, বলছেন মৃৎশিল্পীরা।