ভোরের আলো ফোটার অনেক আগেই শুরু হয় তাঁদের কর্মযজ্ঞ। বাঁশ, কাপড়, দড়ি- সব মিলিয়ে একেকটা মণ্ডপ যেন হয়ে ওঠে তাঁদের হাতে গড়া একেকটি ‘স্বপ্নের বাড়ি’। কেউ বাঁশ কাটছেন, কেউ কাপড় মেপে নিচ্ছেন, কেউ আবার বাঁশে কাপড় বেঁধে ফ্রেম বানাচ্ছেন। শরীর ভিজে যায় ঘামে, কিন্তু ক্লান্তি যেন চৌহদ্দির বাইরে। চোখে শুধু একটাই দৃশ্য, মণ্ডপ দাঁড়াচ্ছে, ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে সেই কাঙ্খিত চূড়া, যেখানে একদিন বসবেন মা দুর্গা।
advertisement
তাঁদের অবশ্য আক্ষেপ, ‘বর্তমান সময়ে বহু জায়গায় স্থায়ীভাবে দুর্গা মন্দির গড়ে উঠছে। ফলে আগের মত আর বাঁশ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী মণ্ডপের প্রয়োজন পড়ছে না। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে তাঁদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়’। কিছুটা আক্ষেপ হলেও যেটুকু আসে, সেটুকু দিয়েই তাঁরা আঁকেন তাঁদের আনন্দ, রুজির ছবি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজোর ঠিক শেষ দিনে চারিদিকে যখন বিসর্জনের ঢাক বাজছে, তখন ডেকোরেটরদের কাজ শেষ হয়। একে একে শুরু হয় মণ্ডপ ভাঙার কাজ। বাঁশ আর কাপড় দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন এক ‘স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ’, নিজের হাতেই সেটা তাঁরা ভেঙে ফেলেন। শুধু থেকে যায় স্মৃতি! আর সেই স্মৃতির আলোই হয়ে ওঠে তাঁদের বেঁচে থাকার প্রেরণা, যার ভিতরে বাজতে থাকে আগামী বছরের আগমনী সুরের প্রতীক্ষা।