বিগত কয়েক বছরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাজারগুলিতে ছট পুজোয় প্রয়োজনীয় উপকরণের চাহিদা হু হু করে বেড়েই চলেছে। এই পুজোয় ব্যবহৃত বাঁশ ও বেতের তৈরি ঝুড়ি, কুলোর জোগান দিতে দুর্গাপুরের বাজারগুলিতে ভিনরাজ্য থেকে হাজার হাজার ঝুড়ি ও কুলো আসছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই সময় ঝুড়ি, কুলোর এত বেশি চাহিদা থাকে যে বাংলার হস্তশিল্পী ও কারিগরেরা জোগান দিতে হিমসিম খায়। সেই কারণে বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে ঝুড়ি ও কুলো আসছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অবশেষে অপেক্ষার অবসান! রসগোল্লা, সরপুরিয়ার পর মানকরের কদমা পেতে চলেছে জিআই তকমা
এছাড়া শিল্পাঞ্চলে ছট পুজোয় ভক্তদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে বহু মানুষ এই উৎসবে মেতে উঠছেন। বাজারে মিলছে বিভিন্ন দামের এবং বিভিন্ন মানের ঝুড়ি, কুলো। ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামের ঝুড়ি পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে কুলোর দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গেই পুজোর উপকরণ হিসেবে বাজারে নানা রঙবেরঙের মাটির হাতি ও বিভিন্ন ধরনের রঙিন প্রদীপ মিলছে।
উল্লেখ্য, কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে ছট পুজো হয়। এই পুজো আদতে সূর্যদেব এবং তাঁর পত্নী ঊষা ও প্রত্যুষা দেবীর পুজো। মোট ৪ দিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বাড়ির সকল নারী ও পুরুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করলেও বাড়ির মহিলারাই এই ব্রত বেশি পালন করেন। সন্তানের স্বাস্থ্য, সাফল্য, দীর্ঘায়ুর জন্য এক কঠোর উপবাস পালন করেন তাঁরা। তবে এই পুজোয় শুধু মহিলারাই নন, পরিবারের সকল সদস্যরাই উপবাস করে ব্রত পালন করতে পারেন।
সংসারের ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় টানা ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করার রীতি রয়েছে। এলাকার পুকুর, নদী ও জলাশয়ের ধারে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বাড়ি থেকে খালি পায়ে হেঁটে মহিলা-পুরুষ সকলে ওই জলাশয়ের ঘাটে যান। ফুল, ফল সহ পুজোর নানা সামগ্রী বড় বড় ঝুড়ি অথবা ডালাতে ও কুলোয় করে সাজিয়ে নিয়ে যান। তাই ছট পুজোর প্রধান উপকরণ হিসেবে ঝুড়ি ও কুলোর বেশি প্রয়োজন হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পুজোয় নানা আকারের একাধিক ঝুড়ির দরকার পড়ে। পুজোর ডালায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল কলার কাদি, গোটা আখ, ডাব, নারকেল, আপেল, পেঁপে, কমলা লেবু ও ঠেকুয়া সহ নানা মিষ্টান্ন। ৪ দিন ধরে চলে ছট পুজো উদযাপন। আগামী সোমবার বিকেলে এবং মঙ্গলবার ভোররাতে হবে ঘাট পুজোর অনুষ্ঠান।





