আরও পড়ুন: ভারী বুটের আওয়াজে স্তব্ধ জঙ্গলমহল, কী ঘটল আবার?
বৃষ্টি নির্ভর এলাকায় এবং কেবলমাত্র নিচু জমিতেই এই চাষ ভাল হয়। তবুও বাঁকুড়ার মাটিতে একপ্রকার পরীক্ষামূলক ভাবেই শুরু হয়েছে বিনা কর্ষণে পয়রা পদ্ধতিতে ডাল, শষ্য ও তৈলবীজের চাষ। প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে ১৫০ জন কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করছেন। এই পুরো প্রজেক্টটির তত্ত্বাবধান করছেন ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস সেন্টার।
advertisement
জলবায়ুর পরিবর্তন ও ভূগর্ভস্থ জলের ক্রমাগত সঙ্কটের কথা ভেবে বোরো ধান চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন এই এলাকার কৃষকরা। বিকল্প হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছে রবি মরশুমে বিনা কর্ষণে পয়রা পদ্ধতিতে ডাল শষ্য ও তৈল বীজের মিশ্র চাষ। মূলত খেসারি, ঘেঁসোমটর ও তিসীর চাষ হচ্ছে বাঁকুড়ার ছাতনায়। স্বল্প খরচে দেশি বীজ ব্যবহার করে বাড়তি ফসল ও আয়ের সুযোগ মিলবে এর ফলে। পাশাপাশি জমির সঠিক ব্যবহার হবে এবং মাটির জৈব পদার্থ ও স্বাস্থ্যগুণ বৃদ্ধি পাবে। মূলত আমন ধান তোলার ২০ দিন আগে থেকেই জমিতে সঞ্চিত আদ্রতা ব্যাবহার করে এই চাষ করা হয়। এইভাবে উৎপন্ন ফসল ফলাতে যেমন খরচ কম হয় তেমনই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আদিবাসী গ্রামবাসীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে এবং একদম জৈব পদ্ধতিতে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন দেশী শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যেই এই পয়রা পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়ার মাটি এই চাষের জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী না হলেও নিচু ভূমি ব্যাবহার করে আপাতত ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে। চলছে ফসল তোলার কাজ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি