বিজ্ঞানসম্মত নানা কারণ অবহেলা করেই কৃষকদের এই অসচেতনতার ছবির সামনে এসেছে। শুধু পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তা নয়, খেসারত দিতে হচ্ছে অন্যান্য চাষিদেরও। সম্প্রতি একাধিক জায়গা থেকে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে এসেছে। কখনও দাঁতন, কখনও নারায়ণগড়, কখনও আবার চন্দ্রকোনা বা দাসপুর এলাকায় নাড়া পোড়ানোকে ঘিরে বেশ কয়েক বিঘা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এমন ঘটনা সৃষ্টি করছেন কতিপয় চাষিরা। তাতেই পুড়ে ছাই হচ্ছে সোনালী ফসল। উর্বরতা হারাচ্ছে চাষের জমি। তাতেও যেন থোড়াই কেয়ার!
advertisement
সম্প্রতি পিংলায় নাড়াতে লাগানো আগুন থেকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অনুমান করা হয়, বেশ কয়েকশো বিঘা জমিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, মাঠে শুকোতে দেওয়া ধানও নাড়ার আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার দুজিপুর এলাকায় এক কৃষকের নাড়া পোড়ানোর কারণে অনিয়ন্ত্রিত আগুন ছড়িয়ে কয়েক বিঘা ফসল ভস্মীভূত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুধু ধান পুড়েছে তা নয়, সেই সঙ্গে আরও একাধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ অন্যান্য কৃষকদের। তবে পরিবেশপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, নাড়া পোড়ানোর কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে ধান চাষের জমি, ক্ষতি হচ্ছে অন্যান্য কৃষকদের, দূষিত হচ্ছে বাতাস।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজ্যের একের পর এক ব্লকে নাড়া পোড়ানো ট্রেন্ড বাড়ছে। বারংবার সংবাদমাধ্যম, প্রশাসন, কৃষি বিভাগের তরফ থেকে সচেতনতামূলক আয়োজন করা হলেও পরোয়া করছেন না বেশ কয়েকজন কৃষক। তার খেসারত গুনতে হচ্ছে অন্যদের। বিধ্বংসী এই ট্রেন্ডের শেষ কোথায়, তা জানে না কেউই।





