আরও পড়ুন: শহর থেকে দূরে, গ্রামেই এবার ‘সব পেয়েছির আসর’… পুরোটা জানলে
হিঙ্গলগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিথারী দিশার উদ্যোগে শতাধিক প্রজাতির ধানের বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃতি-পরিবেশ এবং মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। হাইব্রিড প্রজাতির বীজ কৃষক নিজে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে পারেন না। সেই বীজ দিয়ে চাষাবাদ করার পর কৃষক নিজে বীজ রাখতে পারেন না। পরবর্তী মরশুমে কৃষকদের আবার চড়া দামে কোম্পানির বীজ কিনতে হচ্ছে। পরের বছর জমিতে আরও বেশি সার ও কীটনাশক দিচ্ছেন। এতে আবাদি জমিতে উর্বরতা শক্তি ক্রমশই কমছে। ফলে বছর বছর চাষের খরচও বাড়ছে। যার প্রভাবে দিনের শেষে লাভ করতে পারছেন না কৃষকরা। এইভাবে কয়েক বছর ধারাবাহিক হাইব্রিড ধানের চাষ করার পর কৃষকের ঘরে অবশিষ্ট বীজ না থাকলে কৃষকরা বীজের অধিকার হারান। পরবর্তী সময়ে বীজের জন্য পরনির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার জীববৈচিত্র্যকেও বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই বিষয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দেশি উন্নত জাতের চাষাবাদে পরিমাণমত সার প্রয়োগ করে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করলে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। এর জন্য বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ধান ও সবজি বীজগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। এই সংস্থা সেটাই করছে।
জুলফিকার মোল্লা