জানা গিয়েছে, একেবারে জেসিবি মেশিন লাগিয়ে চাষের জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই মাটি কোনও ইটভাটা বা কোনও পিকনিক গার্ডেন তৈরির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উত্তরভাগ থেকে শুরু করে চক্রবর্তী আবাদ, কালাবড়ু, জয়াতলা, বৃন্দাখালি এলাকায় রাস্তার ধারে নতুন করে পিকনিক গার্ডেন তৈরি হচ্ছে। কিছু গার্ডেন তৈরি হচ্ছে ক্যানিং-বারুইপুর বর্ডারের দিকেও। আবার এই এলাকায় বেশ কিছু ইটভাটাও রয়েছে।
advertisement
পুলিশ জানতে পেরেছে, এইসব এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি আছে। জমিগুলি তিন ফসলি। সবে ধান কাটা হয়েছে। স্থানীয় চাষিদের না জানিয়েই রাতের অন্ধকারে জেসিবি নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে মাটি কাটা চলছিল। এর পিছনে কোনও মাটি মাফিয়া আছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। কে বরাত দিয়েছিল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভাগ চাষিরা বলেন, মাটি কারবারিদের সিন্ডিকেট চলছে। এর ফলে একদিকে যেমন জমি নষ্ট হচ্ছে, তেমনই চাষের জমি কমছে। মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের যাতায়াতের ফলে জমির ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি পাশের জমির ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মাটি ব্যবসায় লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ। এক বিঘা জমি ১ লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকায় কিনে সেখানে কোনও রকম সরকারি নিয়ম না মেনে ৩৫-৪০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেওয়া হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জমির চরিত্র বদল হয়ে যাচ্ছে, পাশের চাষের জমি ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও চাষের জমি ধীরে ধীরে কমতে থাকছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, রাতের অন্ধকারে কিছু দালাল চক্র কাজ করছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। আমরাও নজর রাখছি প্রশাসনকেও বলব সজাগ থাকতে। অবৈধভাবে মাটি কাটার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। অবৈধ মাটির কারবারিদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
