আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি হল, দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল! কে সুযোগ পাবেন তাঁর জায়গায়?
কিছু দিন আগেই এই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগিনীর রক্ত অন্য রোগিনীকে দেওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুডে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গড়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার মাঝেই আবার গাফিলতির অভিযোগ উঠল।
advertisement
ফের একজন রোগিনীর রক্তের রিক্যুইজিশন কাগজ দিয়ে দেওয়া হল অন্য রোগীর আত্মীয়কে। শুধু তাই নয় একইসাথে অন্য রোগীর আত্মীয়কে ইসিজি ও ইউএসজি-র রিক্যুজিশনের কাগজ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। যদিও পরে ভুল বুঝতে পেরে রক্ত, ইসিজি ও ইউএসজি রিক্যুইজেশনের কাগজ ফেরত নিয়ে নেন হাসপাতালের কর্মীরা।
গত ২৭ শে অক্টোবর একজন রোগিনীর রক্ত আর এক জনকে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান মেডিকেলের বিরুদ্ধে। ভুল রক্ত দেওয়ায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগও ওঠে। চাপের মুখে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর মাস না ঘুরতেই ফের একজন রোগিনীর রক্তের রিক্যুইজিশন ও অনান্য পরীক্ষার কাগজপত্র অপর রোগিনীর আত্মীয়কে দিয়ে দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পরিষেবা। হাসপাতাল ও রোগিনীরদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে জামালপুরের পারাতলের বাসিন্দা দোলন মালিক উচ্চ রক্তশর্করা জনিত সমস্যা, বমি ও পেটে ব্যাথা নিয়ে এইচ সিসিইউ-১ এর ৫ নং বেডে ভর্তি হন। অন্যদিকে একই ওয়ার্ডে কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন গলসীর উচ্চগ্রামের বাসিন্দা পুতুল বাগ।
দোলন মালিকের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে তাদের রোগিনীর নাম ধরে ডেকে রক্তের রিকুইজিশন দেওয়া হয় ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের তরফে এবং বলা হয় রক্ত লাগবে, দ্রুত রক্ত নিয়ে আসুন। সেই মতো তারা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের জন্য রিক্যুইজিশন জমা দেন। কিন্তু ডোনার না থাকায় গতকাল ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক থেকে তারা রক্ত পাননি।
অন্য দিকে, ইসিজি ও ইউএসজি-র রিক্যুইজেশন নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে রোগিনীর পরিবার জানতে পারেন তাঁদের যে কাগজ দেওয়া হয়েছে সেগুলো পুতুল বাগ নামে অন্য এক রোগিনীর।
অভিযোগ, এরপর ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে গিয়েও জানতে পারেন সেটিও পুতুল বাগের নামে দেওয়া রক্তের রিকুইজিশন। এরপর দোলন মালিকের পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে থাকা পুতুল বাগের যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে নেন এবং বলেন আপনাদের রোগীর রক্ত লাগবে না।
