প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা পরিচালনা করার জন্য শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনারের সঙ্গে দেখা করে আর্জি জানান তিনি। পাশাপাশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেন সুভাষ দত্ত, তাতে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, জাতীয় পরিবেশ আদালত গঠিত কমিটি প্রয়োজনে এ বারের আয়োজিত পৌষ মেলার দূষণ রুখতে সহযোগিতা করবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাস্তার দুপাশে গাছ ভর্তি কমলালেবু, বড়দিনের ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসুন সিটং
প্রসঙ্গত, বোলপুরের পৌষমেলায় দূষণ হওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালতে একটি মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। পরিবেশ আদালত মেলার মধ্যে কাঠ কিংবা কয়লার জ্বালানি ব্যবহার করা যাবেনা, প্লাস্টিক বর্জন করতে হবে, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে এমনই এক বিধিনিষেধ দিয়েছিলেন। আর আদালতে সেই নির্দেশ মেনেই চলছিল মেলা। তবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন ২০১৯ সালে শেষবার পূর্বপল্লির মাঠে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা।
পরিবেশ আদালতে দূষণ বিধি না মানার জরিমানা করা হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এরপর থেকেই বোলপুরের ঐতিহ্যবাহী মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত পৌষমেলাকে বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। চলতি মাসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেয়াদ শেষ হতে পুনরায় দাবি উঠেছিল আবার পৌষ মেলা শুরু হোক। সূত্রের খবর, নতুন উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক এ বছর পৌষ মেলা করার ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সৌভিক রায়