অভিযোগ, আগুন লাগিয়েছে বহিরাগতরা। গ্রামের বাইরে থেকে আসা কয়েকশো বাসিন্দা এসে ভাঙচুরের পর গাড়ি -বাড়িতে আগুন লাগায়
বলে অভিযোগ। কার বা কাদের ইন্ধনে আগুন- উঠছে প্রশ্ন। খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত উৎপল ঘোষের কাকা ভরত চন্দ্র ঘোষ অবশ্য বলেন, ''খুনির চরম শাস্তি হোক, কিন্তু আগুন লাগানো সমর্থন করি না। আগুন লাগানোর কাজে বাধা দিতে গিয়েছিলাম। উলটে আমাকেই হামলাকারীরা মারতে এসেছিল।'' ইতিমধ্যেই সন্তোষপুরে চলছে RAF-এর টহল।
advertisement
আরও পড়ুন: বৃহন্নলাদের এ কী কাণ্ড! লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে মারাত্মক ঘটনা, ফুঁসছে যাত্রীরা
আগুন লাগানোর পর থেকেই শুনশান সন্তোষপুর। রাতভর পুলিশের তল্লাশি। আগুন লাগানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই আটক ৩১। পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে পুরুষশূন্য গোটা সন্তোষপুর। প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে গলসির সন্তোষপুরে উদ্ধার হয় উৎপল ঘোষ নামে এক যুবকের দেহ। তাঁর মাথায় গেঁথে ছিল একটি কুড়ুল। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মনোজ ঘোষকে গ্রেফতার করে।
সোমবার বিকেলে দেহ গ্রামে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গ্রামবাসীদের একাংশ লাঠি - শাবল নিয়ে মনোজের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যদিও তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। জানা গিয়েছে, জানলা ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি ঘরের বিছানায়। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাইক ও একটি চার চাকা গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় মনোজের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও। তার একটি ট্রাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসককেও দিলেন জরুরি নির্দেশ
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, উৎপলের স্ত্রীকে উত্যক্ত করতেন মনোজ। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন উৎপল। আর সেই ক্ষোভেই রবিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে ফেরার সময় উৎপলকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে মনোজ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।