মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বন দফতর দিঘায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল তৈরির কাজ শুরু করেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন দফতর ১০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু করল। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই কাজ।
আরও পড়ুনঃ কোন খাবার উপকারী, কোনটা ক্ষতিকর? ভাল খাবার-মন্দ খাবার চেনাতে বিশেষ আয়োজন, হাড়োয়ায় অভিনব উদ্যোগ
advertisement
ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল উপকূলবর্তী এলাকার ‘প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ’। বিভিন্ন ঝড়ঝাপটা বা সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসকে রোধ করতে পারে ম্যানগ্রোভ। এছাড়া এগুলি উপকূলের মাটি দূষণ ও জল দূষণ রোধে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি উপকূলের জীববৈচিত্র্যকেও বাঁচিয়ে রাখে। যার অন্যতম উদাহরণ সুন্দরবন।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলবর্তী এলাকা হলেও এই এলাকার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল খুব বেশি নেই। বিশেষ করে দিঘা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল তেমন নেই। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে দিঘায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দিঘা ও তৎসংলগ্ন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ হিসাবে ম্যানগ্রোভ ও ভেটিভার ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগে যে জায়গাগুলিতে ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছিল সেগুলি কোনও কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গায় নতুন করে ম্যানগ্রোভ চারা রোপন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দিঘা সংলগ্ন এলাকায় দশ হেক্টর জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। যেখানে ধাপে ধাপে ৪০-৫০ হাজার ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। আগামীদিনে দিঘা ও সংলগ্ন এলাকায় স্বাভাবিক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল গড়ে তুলতে প্রয়াস জারি থাকবে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূল ছাপিয়ে লোকালয়ে তীব্র জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়েছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল থাকলে এই জলোচ্ছ্বাস অনেকটাই আটকানো যেত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র অঞ্চলে বাইসন, গোলপাতা জাতীয় ম্যানগ্রোভ চারা রোপন করা চলছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সমুদ্র উপকূলের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভ প্লান্টেশনের কাজ আগামী দিনেও চলবে।