পূর্ব বর্ধমানের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সেখ আজিদ। পেশায় লরি চালক তিনি। ৩০ টাকার লটারি কেটে কোটিপতি। কিন্তু সুদিন ঘরে আসতেই ঘুম উড়েছে তাঁর। নিরাপত্তার জন্য তাঁকে গত চারদিন কাটাতে হল থানায়।
সেখ আজিদ জানান, সম্প্রতি আসানসোল থেকে ফেরার পথে জাতীয় সড়কের ধারে একটি লটারির দোকান থেকে টিকিট কাটেন তিনি। পরের দিন টিকিট মেলাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর। নিজের চোখকে যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না! প্রথম পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তবে লটারিতে কোটিপতি হয়ে গিয়েও শান্তি নেই তাঁর।
advertisement
পুরস্কার জেতার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নিরাপত্তার কারণে দেওয়ানদিঘি থানায় চলে যান তিনি। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানান সেখ আজিদ। তাঁর আবেদনে সাড়া দেয় পুলিশ। তার পর থেকে চারদিন থানায় ছিলেন তিনি। অবশেষে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ বর্ধমানের একটি দোকানে যোগাযোগ করে এবং বুধবার তাঁকে নিয়েই আসেন দোকানে। সেখানেই টাকা পাওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এর পর পুলিশের সঙ্গেই ফিরে যান থানায়।
আরও পড়ুন- পুজোয় ইলিশ নিয়ে ‘নো টেনশন’, বাজারে ইলিশের বন্যা, কোন সাইজের মাছ কত দামে বিক্রি হচ্ছে?
সেখ আজিদ জানান, তিনি পেশায় লরি চালক। নিজের লরি কেনার ইচ্ছা ছিল। তবে এবার তিনি কিছু জমি কিনবেন। একটি বাড়ি করবেন। দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ তাঁকে খুবই সাহায্য করেছে, তাই তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানান।