ভারতের বাসিন্দা হলেও কাঁটাতারের ওপারে থাকা হাঁড়িপুকুরের বাসিন্দারা প্রতিদিন নানা বিএসএফের হাজারও নিষেধাজ্ঞায় নানা সমস্যায় পড়েছেন। তাদের সেই সমস্ত সমস্যা, অভাব, অভিযোগ খুঁটিনাটি জানতে জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি সমস্ত এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বাস দিলেন। এমনকি বাংলাদেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের উপর কোন প্রভাব পড়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে দেখা যায়।
advertisement
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অম্বরীশ সরকার জানান, “গ্রামবাসীদের যাতায়াত সহ বেশ কিছু সমস্যার কথা তাঁরা বলেছেন। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। মাঝে মাঝেই বাহিনী পরিবর্তনের ফলে সরকারি নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারছে না এই গ্রামগুলিতে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। দ্রুত এই বিষয়গুলো কি করে সমাধান করা যায় তা খতিয়ে দেখা হবে।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের একমাত্র কুমারগঞ্জ ও গঙ্গারামপুর এর কিছুটা অঞ্চলে সীমান্ত এলাকায় রাস্তাঘাট একটু উন্নত হলেও বাকি সমস্ত অঞ্চলেরই ছবি এক। কোথাও ১২ থেকে ২০ বছর আগে রাস্তা তৈরি হয়েছিল তা আর মেরামত হয়নি। আবার কোথাও বছর তিনেক আগে মেরামত করা হলেও তা ভেঙে শেষ হয়ে গেছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা খাতায়-কলমে হলেও আজও পানীয় জলের জন্য হাহাকার সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে। নলবাহিত জলের ব্যবস্থা হলেও সে জল খাবার উপযুক্ত নয় এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এই বাসিন্দাদের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বসবাসের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর নানা বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয় তাদের। কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলির অনুন্নয়নের ছবি।
সুস্মিতা গোস্বামী