প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পরই প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিই এবার তৎপর হতে চলেছে।
advertisement
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল জেলা হাসপাতাল, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পাশাপাশি আসানসোল ও দুর্গাপুরে দু’টি ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়াও শহরের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল রয়েছে। সরকারি পরিকাঠামো ছাড়াও জেলায় তিনটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, একাধিক বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বহু বড় বড় নার্সিংহোম রয়েছে। এই বৃহৎ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলায় শুরু হয় একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই বৈঠকের দিন নির্দিষ্ট করা হয়নি।
জেলায় দু’টি পৃথক বৈঠক করতে চলেছেন জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। একটি বৈঠক হবে সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে। অপর বৈঠকটি হবে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা তাঁদের কাছে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তার ঘাটতি, তাদের কোনও সমস্যা রয়েছে কি না তা আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের শোভাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাতপাতালের ঘটনায় এলাকাবাসী দাবি করেন, ওই হাসপাতাল চত্বরের আশেপাশে নজরদারি বেশি থাকলে ডাক্তারি পড়ুয়ারাও বেপরোয়া হতে পারত না। বেপরোয়া না হলে দুষ্কৃতীরাও অন্যায় কাজ করার সাহস পেত না।
শনিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, হাসপাতালে নিরাপত্তা যেন থাকে। বাইরের লোক, অবৈধ লোক আটকাও। বৈঠকে সিসিটিভি নজরদারি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কোন হাসপাতালে কত সিসিটিভি রয়েছে? ক’টি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে? সেগুলি ঠিক করতে কত খরচ?তার খসড়া প্রস্তাব রাজ্যকে জানাতে হবে। সেই মতো জেলা প্রশাসনও সিসিটিভি-র বিষয়েও আলোচনা করবেন বৈঠকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) শেখ মহম্মদ ইউনুস জানান, জেলার হাসপাতালগুলি ছাড়াও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে৷ ইতিমধ্যেই হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যে-সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সিসিটিভি নেই সেই গুলিতেও বসানো হবে। দুটি পৃথক বৈঠক করা হবে। এখনও বৈঠকের দিন ঠিক করা হয়নি৷






