Birbhum: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে ৯ বছর পর নবরূপে খুলছে রক্তকরবী, উদ্বোধনের তারিখও পাকা, খুশির হাওয়া রামপুরহাটে
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
Rampurhat: দীর্ঘ ৯ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে বহু ফের খুলতে চলেছে বীরভূমের রামপুরহাটের একটি মাত্র সাংস্কৃতিক মঞ্চ রক্তকরবী। ন'বছর পর নবরূপে ফিরছে রক্তকরবী। ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনের সন্ধিক্ষণে খুলে দেওয়া হবে রামপুরহাটের এক মাত্র সাংস্কৃতিক মঞ্চ!
এক অথবা দুই বছর না, দীর্ঘ ৯ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে বহু আন্দোলনের পরে ন'বছর পর ফের খুলতে চলেছে বীরভূমের রামপুরহাটের একটি মাত্র সাংস্কৃতিক মঞ্চ রক্তকরবী। ন'বছর পর নবরূপে ফিরছে রামপুরহাটের রক্তকরবী। আগামী ২৫ ডিসেম্বর মঞ্চের উদ্বোধনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জোরকদমে চলছে সংস্কারের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।(ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়)
advertisement
আর এর ফলেই কার্যত খুশি এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজন। বীরভূম জেলার নাট্য ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বীরভূমের রামপুরহাট। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে টাউন হল কর্তৃপক্ষের দান করা প্রায় ১৫ কাঠা জায়গায় রক্তকরবী প্রেক্ষাগৃহের শিলান্যাস করেন সেই সময়ের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তপন রায়। এর পরবর্তীকালে ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই রক্তকরবী মঞ্চ উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। মোট ৫২৬ আসন বিশিষ্ট মঞ্চটি পর্যাপ্ত আলো, পাখা ও সাউন্ড সিস্টেম, জলের ব্যবস্থা ছাড়াই পথ চলা শুরু করেছিল।
advertisement
২০১৬ সালে রাজ্যের আর্থিক অনুমোদন ছাড়াই মঞ্চটি আধুনিক মানের করে তুলতে শুরু করেন পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান। খরচ বাবদ ধার্য হয় প্রায় ন'কোটি টাকা। সাংসদ শতাব্দী রায় সেই সময়ে ৬৬ লক্ষ টাকা দেন ও পুরদফতর থেকে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকায় মঞ্চের উপরের টিন বদলে অ্যাসবেসটস বসানো হয়। অডিটোরিয়ামের চার দেওয়াল ছাড়াও সিলিংয়ে উন্নত মানের ম্যাগনেসিয়াম বোর্ড, ব্যালকনি, সেন্ট্রাল এসি ও বাইরের লুক সম্পূর্ণ পরিবর্তন করা হয়। এরপরই অর্থ এবং বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যায় সংস্কারের কাজ।
advertisement
রামপুরহাট পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের আর্থিক অনুমোদন ছাড়াই সংস্কারের কাজে হাত দেওয়ায় এই অবস্থা হয়েছিল। টাকার অভাবে সেন্সর, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, দর্শকদের বসার জন্য পুশ ব্যাক সিট, স্টেজ, লাইট এবং ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম-সহ অনেক কিছুই কাজ বাকি রয়েছে। এর ফলে শহরের সাংস্কৃতিক চর্চাও তলানিতে এসে পড়েছে। এই অবস্থায় ন'বছর ধরে পড়ে ছিল রক্তকরবী। অর্থ চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরসভার চেয়রাম্যান সৌমেন ভকত। গত বছরের জানুয়ারি মাসে বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রক্তকরবীর বিষয়টি তুলে ধরেন শতাব্দী রায়।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেই কথা মতন এবছরের শুরুতে ইউডিএমএ থেকে দু'কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তার মধ্যে এক কোটি টাকা পেয়েও যায় রামপুরহাট পুরসভা। সৌমেন ভকতের দাবি, সেই টাকায় সিভিল ওয়ার্ক ছাড়া অন্য কোনও কাজে হাত লাগানো যায়নি। ফলে শতাব্দী রায় তাঁর এমপি ল্যাড থেকে ৯৫ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করেন। এরপরই এজেন্সিকে দ্রুত কাজ শুরু করে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে বলার পাশাপাশি নিজে কাজের তদারকি করেন বিধায়ক। মঞ্চের ফলস সিলিং করা ছাড়া বাকি কাজ প্রায় শেষ। এবার অপেক্ষা শুধু নতুন ভাবে উদ্বোধনের।
