শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চোখ ঘোরালেই দেখা যায় বিভিন্ন দোকানগুলিতে ছোট ছোট শিশুদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে দোকানের মালিকরা। কেউ করছে পেটের টানে, কাউকে করতে হচ্ছে পরিবারের চাপে। কিন্তু এই বয়সে কীশিশুশ্রম সাজে, কে ভাবে কার ভবিষ্যতের কথা। ছোট্ট বয়সে স্কুলে না পাঠিয়ে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এক রত্তিশিশুদের। শিশুদের প্রতি এই ধরনের মানসিক নির্যাতন নিয়ে কেন চুপ করে বসে থাকবে সমাজ, এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা।
advertisement
নদিয়া চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এবং চাইল্ড হেলপ্লাইন ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শহরের আনাচে-কানাচে শুরু হয় বিশেষ অভিযান। যে সমস্ত দোকানগুলিতে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে সেই সমস্ত দোকান থেকে প্রত্যেক শিশুকে উদ্ধার করা হয়, এবং পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দোকান মালিকদের। একাধিক শিশুকে উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয় নদিয়া চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে।
আরও পড়ুন: গাড়িতে মিলেছিল বিশেষ ওষুধ, এবার ঝোপের মধ্যে মিলল কী? আরও বিপাকে চণ্ডীতলার প্রাক্তন আইসি
জানা গেছে উদ্ধার হওয়া শিশু গুলির পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা, এরপর তাদের স্কুলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। তারপরেও যদি কোনও পরিবার প্রশাসনের কথা অমান্য করে, তাদের প্রত্যেকের প্রতি কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে ভাঙা হচ্ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি! তার পর…? ঘুরে গেল খেলা
এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর জয়েন্ট লেবার কমিশনার সৌম্য নীল সরকারের হুঁশিয়ারি, এখন থেকে শিশুশ্রম যদি বন্ধ না হয়, তাহলে প্রমাণ অনুযায়ী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেখানে বাল্য বয়সে স্কুলে যাওয়া ভীষণ প্রয়োজন সেইখানে শ্রমিকের মত কাজ করানো হচ্ছে শিশুদের, যার কারণে ভবিষ্যতের প্রথম পাতাও খুলতে পারছে না এই নিরীহ শিশুরা।
Mainak Debnath