TRENDING:

Adhir Chowdhury: ছেলের মৃত্যুর দিনই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, দিদি রেণুকার থেকে ফোঁটা নেন অধীর

Last Updated:

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটের দিনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে রেণুকা মাড্ডির মেজ ছেলে (Adhir Chowdhury)।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বহরমপুর: গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটের দিনেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে হারিয়েছিলেন। কেবল 'দাদা' অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) জেতাতে ছেলের দেহ মর্গে রেখেই নিজের অধিকারের ভোট দিতে ছুটে গিয়েছিলেন বহরমপুরের মাজদিয়াপুরের বাসিন্দা রেণুকা মাড্ডি। বহরমপুর সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই খবর পেয়েই ভোটে জিতে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন‌ রেণুকা মাড্ডির বাড়িতে।
রেণুকা মাড্ডির সঙ্গে অধীর চৌধুরী৷
রেণুকা মাড্ডির সঙ্গে অধীর চৌধুরী৷
advertisement

দাদা-বোনের এই সম্পর্ক সেখানেই থেমে থাকেনি। গত বছর ভাইফোঁটার দিনে রেণুকাদেবীর হাত থেকে ফোঁটা নেন অধীরবাবু।

আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় অগ্নিমূল্য সবজি থেকে মাছ! কিসের দাম কত বাড়ল? দেখুন একনজরে...

গতবারের মতো এবারেও রেণুকা মাড্ডির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ (Adhir Chowdhury)। অধীরবাবু জানিয়েছেন, যতদিন সম্ভব হবে দিদির ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ভাইফোঁটা নিতে আসবেন। বহরমপুরের সাংসদ বলেন, 'এটা আমার অনেক বড় সৌভাগ্য, আমার পুণ্যকাজের ফল যে তিনি আমাকে প্রতি বছর এই দিনটিতে আদর করে, স্নেহ করে আমন্ত্রণ করেন৷ শুধু দায়িত্ব পালন করতে নয়, আসতেও ভাল লাগে৷ কান্দির এক দিদির থেকেও ফোঁটা নিয়েছি৷'

advertisement

অধীর চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রেণুকা মাড্ডি বলেন, লোকসভা ভোটের আগে তাঁর একটি জমির মামলায় সাহায্য করেন অধীরবাবু। আজ তিনি যে বাড়িতে দাঁড়িয়ে, অধীরবাবুর সহযোগিতা ছাড়া সেই বাড়ি তৈরি সম্ভব ছিল না।

আরও পড়ুন: দাম মাত্র ১০ টাকা! ভাইফোঁটার আগে ক্ষীরপাইয়ের বাবরসা মিষ্টি পাড়ি দিচ্ছে জেলায় জেলায়...

advertisement

রেণুকা দেবী বলেন, 'এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না৷ আমারও সৌভাগ্য এত বড় দাদাকে কাছে পেয়েছি৷ এই দিনটির জন্য প্রত্যেকবছর অপেক্ষা করে থাকি যে দাদার সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে৷ আমাদের এখন দাদা- বোনের নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে৷'

উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটের দিনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে রেণুকা মাড্ডির মেজ ছেলে। দাদা যেন একটি ভোটের জন্য না হারেন, সেইকথা মাথায় রেখে ছেলের দেহ হাসপাতালের মর্গে রেখেই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন রেণুকাদেবী। বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলে আগে গিয়ে ভোট দিয়ে আবার নিজের মৃত ছেলের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনাটি জানতে পেরে ভোটে জিতে রেণুকা মাড্ডির সঙ্গে দেখা করেন অধীর চৌধুরী।

advertisement

Pranab Kumar Bandopadhyay

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Adhir Chowdhury: ছেলের মৃত্যুর দিনই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, দিদি রেণুকার থেকে ফোঁটা নেন অধীর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল