আদালত সূত্রে খবর, ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে কেতুগ্রাম থানার ছোটপুরুলে গ্রামের দাসপাড়ায় প্রতিবেশী এক প্রতিবন্ধী বালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে জীতেন মাজির বিরুদ্ধে। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ কয়েকদিনের মধ্যেই অভিযুক্ত জীতেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে। এর মাস দেড়েকের মধ্য়েই অবশ্য় জামিন পেয়ে যায় জিতেন মাজি। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মামলার শুনানি শেষ হয়। আজ ছিল মামলায় রায় ঘোষণার দিন।
advertisement
আরও পড়ুন: খড়দহে অধ্য়াপকের ফ্ল্য়াটে টাকার পাহাড়! রাতভর তল্লাশিতে মিলল ৩২ লক্ষ
আদালতের নির্দেশে এ দিন দুপুরে হাজিরা দেন জিতেন মাজি। কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধর জিতেনকে এই মামলায় দোষী সাব্য়স্ত করে। বিচারক জানিয়ে দেন, জিতেনের সর্বনিম্ন দশ এবং সর্বাধিক যাবজ্জীবন জেলের সাজা হবে। যদিও এ দিন শাস্তি ঘোষণা করেননি বিচারক। দোষী সাব্য়স্ত করে তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। জিতেন মাজিকে এজলাসের লক আপে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'তৃণমূল ওষুধের কোম্পানি, আমরা মেডিক্য়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ!' বললেন হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক
বিচারক এই নির্দেশ দেওয়ার পরই আদালত কক্ষ থেকে গা ঢাকা দেয় জিতেন। সেই সময় অন্য় একটি মামলার কাজ নিয়ে ব্য়স্ত হয়ে পড়েন আইনজীবী এবং আদালতের অন্য়ান্য় কর্মীরা। সেই সুযোগেই চম্পট দেয় জিতেন। যেহেতু জিতেন জামিনে মুক্ত ছিল, তাই পুলিশকর্মীরাও তার দিকে প্রথমে খুব একটা নজর দেননি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নজরে আসতেই জিতেনের খোঁজ শুরু হয়। ততক্ষণে অবশ্য় আদালত চত্বর ছেড়ে পালিয়ে যায় জিতেন।
জিতেন পালিয়ে গেলেও তার বাবা বিজয় মাজিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ওই সাজা প্রাপ্ত আসামীর আইনজীবী নির্মল মণ্ডল। কাটোয়া থানার পুলিশ পলাতক জীতেন মাজির খোঁজ শুরু করেছে।
