একটা বন্ধ প্রায় সরকারি বিদ্যালয়। যে বিদ্যালয়ে গত কয়েক বছরে ক্রমশ ছাত্র সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সেই বিদ্যালয় আবার ঘুরে দাঁড়ানোর পথে। নতুন প্রধান শিক্ষিকা এই বিদ্যালয়ে আসার পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিদ্যালয়। তেমনি ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিদ্যালয়ে আসার রসদ পেয়েছে। আরও বেশি শেখার উৎসাহ পাচ্ছে।
আরও পড়ুন : আবাসনের গেটে হাত দিতেই বিদ্যুৎ খেলে গেল শরীরে, রাস্তায় উড়ে এসে পড়লেন ভ্যানচালক! তারপর যা হল…
advertisement
সমস্ত শ্রেণী মিলিয়ে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী সংখ্যা এসে পৌঁছেছিল। শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই স্কুল বাঁচানোর লড়াই। প্রধান শিক্ষিকা, সহ-শিক্ষিকা এবং গ্রামের শিক্ষা অনুরাগী ও প্রাক্তনী ছাত্র-ছাত্রী এলাকা ঘুরে ছাত্র-ছাত্রী বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। তার ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ থেকে ৪৩ জনে পৌঁছেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা গন এবং প্রাক্তনীরা যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন, আগামী বছর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যায় এই বিদ্যালয়ের কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলেই আশা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় জল যন্ত্রণা থেকে এই নিয়মেই মিলবে মুক্তি! চমৎকার উপায় দিলেন হাওড়ার একদল শিক্ষক, জানুন
কয়েক দশক আগে ৬০০র অধিক ছাত্রছাত্রী ছিল এই বিদ্যালয়ে। পুরনো সেই গৌরব ফিরবে বলেই আশাবাদী সকলে। পাঠ্য বইয়ের পঠন-পাঠনের পাশাপাশি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, খেলাধুলো, ব্যায়াম, ক্যারাটে, আবৃতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিপূর্ণ করার চেষ্টা চলছে। ব্যায়বহুল কোনও বেসরকারি বিদ্যালয়ের থেকেও যে সরকারি বিদ্যালয়গুলি কোনও অংশে কম নয়, তার উদাহরণ হয়ে উঠছে ব্যাটরা পাবলিক লাইব্রেরী শিক্ষা নিকেতন।
ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের উৎসাহ বাড়াতে নানা উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম হল বিদ্যালয়ের সাজে ‘আবোল তাবোল’ মোড়ক। শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি ‘ আবোল তাবোল’ এর শতবর্ষ উদযাপনে কবি’র কালজয়ী সৃষ্টির নানা চিত্র স্কুল জুড়ে উঠে এসেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা ঘোষ জানান, বিদ্যালয়ের সমস্ত শ্রেণীকক্ষ ছাত্র-ছাত্রীতে ভরিয়ে তোলার উদ্যোগে এই কর্মকাণ্ড। আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সরকারি বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন শিশুদের আদর্শ স্থান। সেই বিশ্বাস মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এখন মূল লক্ষ্য। মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে তাদের ছেলে-মেয়েদের এই বিদ্যালয়ে ভর্তি করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের থেকে দারুণভাবে সাড়া মিলেছে। একদিকে যেমন অভিবাবক ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করার আগ্রহ দেখিয়েছেন, অন্যদিকে এলাকার শিক্ষা অনুরাগী মানুষ এবং প্রাক্তনীরা এগিয়ে এসেছেন নানা সহযোগিতা নিয়ে। আবার প্রসেনজিৎ সাঁতরার মত প্রাক্তনীরা নানাভাবে স্কুলকে সহযোগিতা করছেন এই দুঃসময়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক সকলেই এই বিদ্যালয় পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।