এদিন মুর্শিদাবাদে স্বভাবতই বার বার অভিষেকের মুখে উঠে আসে সাগরদিঘি প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “সাগরদিঘি নিয়ে ভেবে বসে লাভ নেই। মানুষকে বোঝান, অধীর চৌধুরী বা কংগ্রেস কিছুই করেনি এখানে৷ তৃণমূল কংগ্রেস আগেও লড়েছে, আর এখনও পাশে আছে।” দলীয় নেতাদের সতর্ক করে অভিষেক আবার বলেন, “মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে৷ তার মানে মানুষ পাশে আছে। এদেরকে নিয়েই চলতে হবে। মানুষের পাশে যান, তাদের অভাব অসুবিধা শুনুন৷ কেন্দ্র কি আচরণ করছে সেটা তাদের বোঝান।”
advertisement
অভিষেক বলেন, “সাগরদিঘি আমার মাথায় আছে। আমি দেখছি ওটা। আপনারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করুন। সবাই সবাইকে নিয়ে চলুন। যারা পদাধিকারী আছেন তাঁদের কাছে কোনও সমস্যা নিয়ে কেউ আসলে শুনুন। সেরকম হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান৷”
“ব্লক ভিত্তিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ব্লক সভাপতি বিধায়কের কথা শোনে না। এসব করা যাবে না। যার যার সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে। এত মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তাদের স্বার্থে দলের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়ে চলুন। “এদিনের অধিবেশনে, ৩ – ৪ মাস বা অন্তত ৬ মাস পরপর সংগঠন নিয়ে অভিষেককে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অভিষেক জানান তিনি এই প্রস্তাবে রাজি।
এদিকে, রবিবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার ‘অধিবেশন’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অভিষেক তিনি বলেন, “২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টার্গেট ৪০ টি আসন। মুর্শিদাবাদে তিনটির মধ্যে তিনটিতেই জয় চাই।” এ ভাবেই রীতিমতো লোকসভা নির্বাচনের টার্গেট বেধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
বুথ সভাপতিদের মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় যেন দুই থেকে তিনটে সিট যেতে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে। আগামী দিনে ৪০ এর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা ঝাপাব। এটা তখনই সম্ভব যখন জেলার বুথ সভাপতিরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামবেন।”