একটা সময় বেহাল হয়ে পড়ে থাকা এই মন্দিরের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। চাঁদ সওদাগরের সেই শিব মন্দিরে পুজো দেবেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবজোয়ার কর্মসূচি উপলক্ষে মন্দিরে পুজো দিতে আসবেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর তেমনটাই। কর্মসূচিতে বিশেষ পরিবর্তন না হলে, ভরতপুর গ্রামে চাঁদ সওদাগরের শিব মন্দিরে যাবেন অভিষেক। তার জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে।
advertisement
কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ মে ভরতপুর গ্রামে চাঁদ সওদাগরের মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা অভিষেকের। পরদিন ১৬ মে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করবেন অভিষেক। বুদবুদের অভিষেকের একাধিক কর্মসূচি এবং রোড শো রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। পরদিন পানাগড় থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তৃণমূলে নবজোয়ার আনতে মাঠে নামবেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
আরও পড়ুন: কুন্তল-তাপসদের থেকে টাকা কার কাছে? এবার ‘বড়’ নাম? সিবিআই-কে বিরাট নির্দেশ
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুধু চাঁদ সওদাগরের শিব মন্দিরে পুজো দেওয়া নয়, বুদবুদের মহাকালী হাই স্কুল মাঠে সভা এবং অধিবেশন করবেন অভিষেক। নিশি যাপন করবেন বুদবুদে। অভিষেকের এই আগমনকে কেন্দ্র করে আশায় বুক বাঁধছেন এলাকার মানুষ। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমন হলে, এলাকার রাস্তা সহ একাধিক উন্নতি হতে পারে বলে আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে হারের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি, এরই মধ্যে সাপের সামনে মুখ্যমন্ত্রী! ভয়ঙ্কর ঘটনা
অন্যদিকে, দুই বর্ধমানের সংযোগস্থলে অবস্থিত বুদবুদ এবং কাঁকসা অঞ্চলে অভিষেকের ঠাসা কর্মসূচি বিশেষ নজরে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও। কারণ বুদবুদ এবং কাঁকসা অঞ্চলে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যথেষ্ট পরিকল্পনা এবং বিশ্লেষণ করে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে তাদের ধারণা। আর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের আগমনকে কেন্দ্র করে বুদবুদ এবং পানাগরে প্রস্তুতি রয়েছে চরমে। একইসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে সভা, প্রচার। চলছে প্রস্তুতি।
—– Nayan Ghosh