একদিকে অশান্তির খবর, আর অন্যদিকে প্রার্থীপদ নিয়ে জটিলতার কারণে শাসক দলের একাধিক বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কার্যত। বিশেষ করে হুমায়ুন কবীরের আচরণ নিয়ে বিরক্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। এই অবস্থায় আজ ডোমকলে রোড শো করতে চলেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আলু তো সবজির ‘রাজা’…! কিন্তু জানেন কি সবজির ‘রানী’ কে? এই ‘নাম’ শুনলে চমকে যাবেন!
advertisement
গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার তিন আসনের দুটি গিয়েছিল তৃণমূলের দখলে৷ বিধানসভা ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেস এখানে ভাল ফল করেছে৷ কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পরেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল৷ বিশেষ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ যখন বলছেন, এখানে জোটশক্তি মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। এই অবস্থায় গত দু’মাস ধরে বুথ স্তরের সংগঠনের হাল হকিকত দেখতে ময়দানে নেমেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়েও চলেছে প্রচার। প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের হারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দুষেছে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি কমিটি। সাগরদিঘির নির্বাচনে হারের কারণ খুঁজতে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, কমিটি অনুসন্ধান করে দেখেছে হারের কারণ একাধিক।
তবে, মূলত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সঠিক প্রচার ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে স্থানীয় মানুষ শাসকদলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে বলে মনে করেছে কমিটি। যদিও, কমিটির এই রিপোর্টকে ‘মনগড়া রিপোর্ট’ বলে মনে করছেন বিক্ষুব্ধ জেলা নেতৃত্বের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘খোকা’ ইলিশ দেদার বিকোচ্ছে বাজারে বাজারে! ওজন কত? শুনলে আঁতকে উঠবেন!
সাগরদিঘির ফল প্রকাশের পরে হারের কারণ পর্যালোচনা করতে ৫ সংখ্যালঘু মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই দলে ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, গোলাম রব্বানি, জাভেদ খানেরা৷ তবে এতকিছুর মধ্যেই ঘাটালে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন সাগরদিঘি থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতা বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস৷ দলের ক্ষোভ সামলে, অশান্তি রুখে মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েতের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে শাসক দল।