বুধবার রাতে চণ্ডীপুরে কর্মসূচি সেরেছেন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিকারী পরিবারেরই সদস্য তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামছেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কর্মসূচিতে ‘অধিকারী’দের শক্তঘাঁটিতে জন-সমর্থনের প্রমাণ দিতে চান অভিষেক। সেই লক্ষ্যেই চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার হেঁটে জনসংযোগের পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের পর এবার সৃজন, কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক! যা ঘটল…
বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ করলেও নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের ঘটনা তৃণমূলের কাছে কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে। এই পদযাত্রায় শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সেই খামতি পূরণের চেষ্টা চালাবে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের পদযাত্রা নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার চন্ডীপুর ক্যাম্প থেকে ২০ কিমি পায়ে হেঁটে নন্দীগ্রাম যাব৷ গদ্দার অধিকারী পারবে? খালি বড় বড় কথা৷ রাস্তায় নামো, দেখি কত তোমার ক্ষমতা। না হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই মিছিল করো।
আরও পড়ুন: বীরভূমে দলের মধ্যেই এ কী করলেন তৃণমূল নেতা! মারাত্মক ঘটনা, তড়িঘড়ি গ্রেফতার! তোলপাড়
দুই রাজনৈতিক শীর্ষ নেতার মধ্যে বাগযুদ্ধ লেগেই আছে। এবার নন্দীগ্রামের মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। চণ্ডীপুর ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এই পদযাত্রা হবে। এই ২০ কিলোমিটার পদযাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পথ চলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। জেনে নেবেন তাঁদের সমস্যার কথা। এই পথ পুরোটাই হেঁটে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পদযাত্রার মধ্যেই জনসংযোগ সারবেন অভিষেক।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, চন্ডীপুর থেকে হাঁসচরা হয়ে, রেয়াপাড়া, খোদামবাড়ি, ঠাকুরচক, দেবীপুর, হরিপুর, টেঙ্গুয়া মোড়, বটতলা হয়ে নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ড অবধি জমায়েতের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন, স্থানীয় দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা, চা খাওয়ার পর্ব সবটাই থাকছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনকারী শহিদ পরিবারের সঙ্গেও কথা বলবেন অভিষেক। আজ প্রথমবার ২০ কিলোমিটার পুরোটাই হেঁটে জনসংযোগ সারবেন নন্দীগ্রামে৷ আর এই সফর ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে আগ্রহ বাড়ছে।