এ দিন বাঁকুড়ার সভায় শুরু থেকেই একশো দিনের কাজ বাবদ কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা নিয়ে সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, 'এই জেলায় চাষবাস কম। অত্যন্ত রুক্ষ জেলা৷ এখানে ১০০ দিনের কাজ একমাত্র রোজগারের উপায়। সেই টাকা আটকে রাখা যাবে না। প্রতি মানুষের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে। আর এখানের ১৮ লাখ পরিবার দাঁড়িয়ে গেলে, বিজেপিকে এই রাজ্যে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যাবে না। আপনিও মানুষ, আমিও মানুষ। নিজের অধিকার নিয়ে লড়ুন। আপনার অধিকারের জন্য লড়তে হবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: ফের দিল্লি 'দরবার' এড়ালেন অনুব্রত-কন্যা! যা কারণ জানালেন, অস্বস্তিতে পড়ল ইডি-ও
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার দুই আসনেই জয়ী হয় বিজেপি৷ বাঁকুড়া থেকে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন সুভাষ সরকার৷ অভিষেক এ দিন অভিযোগ করেন, বাঁকুড়া থেকে নির্বাচিত হলেও দুই সাংসদের একজনও জেলার সমস্যা নিয়ে সংসদে সরব হন না৷ অভিষেক আরও দাবি করেন, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে না পেরেই রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রেখে সাধারণ মানুষের উপরে প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতাদের দেখলেই ঘেরাও করে টাকা আদায়ের নিদানও দিয়েছেন অভিষেক৷
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই জঙ্গলমহলে তৃণমূলের রাশ আলগা হয়েছিল৷ ২০১৯-এর লোকসভায় বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর দখলের পর ২০২১-এর ভোটেও বাঁকুড়া জেলায় যথেষ্ট ভাল ফল করে বিজেপি৷ তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের পাখির চোখ জঙ্গলমহলের এই জেলা৷
এ দিন যথারীতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক৷ জানিয়েছেন, মানুষ যাঁকে পছন্দ করবেন, তাঁকেই প্রার্থী করা হবে৷ তিনি নিজে বুথ বুথে যাবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক৷ একশো দিনের কাজের টাকার দাবিেত আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে সাধারণ মানুষের থেকে সই সংগ্রহ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন অভিষেক৷