স্থানীয় পৌরপিতা শুভাশিস দাস সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন তার নিজস্ব ওয়ার্ড অর্থাৎ মহেশতলা পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই শুরু হয়েছে এই খালটি। জেটি “মনিখাল” নামেই পরিচিত। তাঁর দাবি, প্রায় একান্ন বছর বাদে এই খালটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই।
advertisement
আজ সেই কাজের তত্ত্বাবধান তিনি নিজে সরেজমিনে গিয়ে দেখলেন। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দিরে পুজো দিয়ে এবং নারকেল ফাটিয়ে এই প্রকল্পের কাজটি যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার আয়োজন করলেন। পাঁচ কিলোমিটার এরও বেশি দীর্ঘায়িত এই খালটি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের থেকে শুরু হয়ে ১৮,১৯,২০, ২১, ২২ এর কিছুটা এবং মহেশতলা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জল নিকাশি ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দফতরের আর্থিক সাহায্যেই এই প্রকল্পের কাজটি করা হচ্ছে। পৌর পিতা শুভাশিস দাসের দাবি, এই খাল সংলগ্ন বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে যাদেরকে অনুরোধ করা মাত্রই তারা স্বেচ্ছায় সেই দোকান তুলে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ওই সমস্ত দোকানদার যাদের একমাত্র রুজি রুটি এই দোকান, তারাও বলছেন এই খালটি সংস্কার হওয়া খুব প্রয়োজন। তাই তারা স্বেচ্ছায় তাদের দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সব মিলিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পৌরপিতা প্রত্যেকেরই আসা অন্ততপক্ষে এবছর মহেশতলার জল যন্ত্রণা সেই অর্থে প্রায় থাকবে না বললেই চলে। এখন এটাই দেখার বাস্তবে তা কতটা বাস্তবায়িত হয়।
—– সমীর মণ্ডল