শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বরাবরই পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম এবং তাম্রলিপ্ত সরকারের কথা শোনা যায়৷ তার উপরে এ দিন ছিল শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন৷ এ দিন কাঁথিতে জনসভা করতে গিয়ে অভিষেকের মুখেও সতীশ সামন্ত, বীরেন্দ্র শাসমল, ক্ষুদিরাম বসুদের নাম শোনা যায়৷ তাঁদের সঙ্গে তুলনা টেনে শুভেন্দু অধিকারীকে বিশ্বাসঘাতক এবং মেদিনীপুরের লজ্জা বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'বলছে অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে, আমাকে চার বছর জেলে রাখবে!' বিস্ফোরক অভিষেক
এই প্রসঙ্গেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন, 'খালি বলে বেলায় আমি বিপিন অধিকারীর বংশধর৷ সে তো ঠিকই৷ কিন্তু তাই বলে কি মহাত্মা গান্ধি আর রাহুল গান্ধি এক হল? বিপিন অধিকারী বেঁচে থাকলে এখন আপনাকে দেখলে চোখের জল ফেলতেন৷'
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই ডায়মন্ড হারবারে বিজয়া সম্মিলনী, অভিষেক গড়ে কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর
এ দিন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করার অভিষেকও তুলেছেন অভিষেক৷ তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'এখন আর ওনার মুখে সতীশ সামন্ত, ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরাদের নাম শুনতে পারবেন না৷ এখন শুনবেন মোদিজি, যোগিজি, অমিতজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মাজি৷ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন জি, আর নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন মমতা, বেগম, বুড়ি৷ এটা মেদিনীপুরের সংস্কৃতি?'
যদিও অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে সেভাবে কোনও জবাব দেননি শুভেন্দু অধিকারী৷ তবে ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, এ মাসেই ওই জেলায় গিয়ে বিজয়া সম্মিলনী পালন করবেন তিনি৷
