বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)৷ দেশের অন্যান্য প্রান্তেও তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলাই যে তাঁর লক্ষ্য, প্রথমেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি৷ সেই দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ত্রিপুরা এবং গোয়ায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল৷
এ দিন গোসাবার মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, 'সারা ভারতের এমন কোনও রাজ্য নেই যেখান থেকে আমরা চিঠি নেই৷ সবাই বলছেন, দিদি অন্তত একবার আমাদের এখানে আসুন, আমাদের বাঁচান৷ আগামী এক বছরে দেশের বারো থেকে পনেরোটি রাজ্যে আমাদের ওয়ার্কিং ইউনিট থাকবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সামনে রেখে লড়াই হবে৷ আমরা উত্তর প্রদেশ এবং মেঘালয়েও ঢুকছি৷'
advertisement
আরও পড়ুন: সরকার গঠনই লক্ষ্য, গোয়ায় পা দেওয়ার আগে বড় বার্তা মমতার
অভিষেক আগেই জানিয়েছিলেন, শুধু অন্য রাজ্যে সংগঠন খোলা নয়৷ যে রাজ্যেই তৃণমূল পা রাখবে, সেখানে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে তারা৷ অভিষেক এ দিনও দাবি করেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করার ক্ষমতা একমাত্র আছে তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের মানুষ চাইছেন দাবি করে অভিষেক বলেন, 'সারা দেশে আওয়াজ উঠছে, 'দেশ কে নেত্রী ক্যায়সা হো, মমতা বন্দোপাধ্যায় জ্যায়সা হো। এখন এটাই দেশের আওয়াজ। আরও ৫ রাজ্যে আমরা যাব আগামী ৩ মাসে। বিজেপি শাসিত রাজ্যেই যাব। সরকার প্রতিষ্ঠা করতেই যাব।'
ত্রিপুরা এবং গোয়াতেও তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেক৷ তিনি বলেন, 'গোয়ায় বিজেপিকে হারাবো, লিখে রাখুন।
বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে। ওখানেও জিতব। কাল আমাদের মহিলা সাংসদকে মারল। এভাবে আটকাতে পারবে না।' গোয়াতে আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন৷ ত্রিপুরায় ভোট ২০২৩ সালে৷
অভিষেক বলেন, রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিকে গোটা দেশের মানুষ চেয়ে আছেন৷ বিজেপি-কে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, 'এই উপনির্বাচন পদ্ম ফুল বাবু চোখে সরষে ফুল দেখবে। চার শুন্য ফলে জিতব।'