শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “গদ্দারদের অবসান হতে চলেছে আগামী দিনে। আপনার গায়ে হাত পড়লে আমি আসব৷ আগামী দিনে এক ছটাক জমি দেবেন না৷ যদি দম থাকে, ২০ কিমি রাস্তায় মিছিল করে দেখাও৷ রাতের বেলা জনগণ নিয়ে মিটিং করো।”
আরও পড়ুন: আপনি কি বুদ্ধিমান? ‘জিনিয়াসদের’ এই ৭ টি অভ্যাস থাকবেই! মিলিয়ে নিন আপনারটি
advertisement
একসময়ের তৃণমূলে থাকা শুভেন্দু অধিকারী তথা গোটা অধিকারী পরিবারকেই কটাক্ষ করে এরপরে অভিষেক বলেন, “বলত, এই মাটি, নন্দীগ্রামের মাটি, অধিকারীর মাটি। সাহস সঞ্চয় করে লড়াই করুন৷ ওদের কোনও ক্ষমতা নেই৷ কেউ বিজেপি নেতা ভয় দেখালে বাড়ি ঘেরাও করবেন আমি আসব৷ লোডশেডিংয়ে জেতা নেতা৷ নাহলে ওই ফল হয় না৷ আদালতের রায়ে আবার পুনঃনির্বাচন হলে ৫০ হাজার ভোটে জিতব। বিজেপির মেয়াদ আর একবছর৷ নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলে যিনি দাবি করেন, তিনি ২০ কিমি হাঁটতে পারবেন?”
আরও পড়ুন: আকাশ ভেঙে পড়ল ‘বাবা-মেয়ের’ মাথায়! কোর্টের ‘এক’ রায়ে ‘জোড়া’ ধাক্কা অনুব্রত-সুকন্যার!
অভিষেকের কথায়, “মানুষ আগামীদিনে জবাব দেবে। কোনও মীরজাফরের ক্ষমতা নেই, আপনাদের টাকা আটকে রাখা। নন্দীগ্রাম মীরজাফরদের ভূমি নয়৷ এটা আন্দোলনের ভূমি৷ এরা যদি ভাবে সি আর পি এফ দিয়ে ভয় দেখাবে, জবাব দেবেন। এই তো চন্ডীপুরে কনভয়ের গাড়ি ধাক্কা মেরেছে৷ গাড়িতে ধাক্কা লাগতে পারে, কিন্তু মানবিকতা থাকবে না? ক্ষমতায় না এসেই এই অবস্থা?” নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রোড শো থেকে এরপরেই তুমুল আক্রমণ শানিয়ে স্লোগান তোলেন, “ঘুসখোর, তোলাবাজ, গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী হটাও৷ মীরজাফর, বেইমান, দিল্লির ক্রীতদাস হাটাও।
অভিষেক বলেন, “আজ ট্রেলার দেখালাম৷ তিন মাস পরে নন্দীগ্রামে বাকি সিনেমা দেখাব৷ অনেক ইডি, সিবিআই দেখিয়ে আমায় ভয় দেখিয়েছো৷ আজ ট্রেলার দেখালাম, বাকি সিনেমা বাকি হ্যায়৷ তিন মাস পরে দেখাব৷ এদের বিদায় দিন৷ এই বছরে ৫ রাজ্যে ভোট আছে৷ এদের শেষের শুরু হয়ে গেছে। ৫ রাজ্যেই হারবে। আমরা বাংলায় খুঁটি পুজো করেছি, দিল্লিতে এবার শুধু বিসর্জন।”