খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিনপুর থানার পুলিশ এবং দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে শিলদা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানের কর্মরত চিকিৎসকেরা পরীক্ষার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে সেখান থেকে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সুবলের বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরেন তাঁর মা শেফালী দেবী। নেই নিজেদের চাষ যোগ্য জমি, তাই সংসারের খরচ জোটাতে অন্যের জমিতে কাজ করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভাবের সংসার মাত্র অল্প জমি চাষ করে সংসার চালাতেন মা ও ছেলে। জোটেনি আবাস যোজনার বাড়ি, মাটির কুঁড়ে ঘরে বসবাস করত। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার ফলে পরিবারে ছিল না ফলে কোনও রকমে সংসার চালাতেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: হালিশহর জুট মিলের আবর্জনায় পরিপূর্ণ গঙ্গা! চর্মরোগে ভুগছে স্থানীয়রা
সুবলের মা শেফালী মাহাত বলেন ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার ফলে ওকে নিয়ে কোনও রকম ভাবে বেঁচে আছি। ছোট বেলা থেকেই আজ ও কথাও বলতে পারত না। এভাবে দুর্ঘটনায় আমাদের ছেড়ে চলে যাবে তা ভাবতে পারছি না। ওই গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল বলেন ‘বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ছোটবেলা থেকেই ও খুব ভাল মনের ছেলে ছিল। খবরটা শুনে খুব ব্যথিত হলাম।’ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।