আরও পড়ুন: দিঘায় ঘর বুকিং, একান্তে সময় কাটানোর জব্বর প্ল্যান, একটা ভুলে কিন্তু সব মাটি
সারাদিনে সামান্য যা আয় হয় তার সিংহভাগ ব্যয় করেন সারমেয় ও বিড়ালদের পিছনে। অসুস্থ সারমেয় অথবা বিড়াল রাস্তাঘাটে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে, তাদের সেবা করাই তাঁর অন্যতম প্রধান কাজ। নিজের এক চিলতে টিনের ঘরে আটটি বিড়াল ও বেশ কয়েকটি সারমেয় বাচ্চাকে নিয়ে তাঁর সংসার। এক একটি বিড়ালের একেকটি নাম। তিনি যখনই তাদের ডাকেন, যে যেখানে থাকে ছুটে চলে আসে নির্মল বাবুর কাছে। দিন পনেরো আগে তিনি কাজের সূত্রে কলকাতায় গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে এসে অনেক ডাকাডাকি করলেও, আদরের একটি পোষ্য আর ঘরে ফেরেনি। ছোট ছেলে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর হুলোকেই তিনি ‘সন্তান’ স্নেহে মানুষ করতেন। তার জন্য রয়েছে আলাদা খাট। প্রতিদিন একটি করে মাছ ও এক পোয়া দুধ তার জন্য বরাদ্দ।
advertisement
আরও পড়ুন: রূপনারায়ণের পাড়ে পিকনিক! সব আয়োজন হবে এক ফোনেই! জানুন বিস্তারিত
বাড়ির উঠোনেই চৌবাচ্চা করে তাতে মাছ চাষ করছেন বিড়ালদের মাছ খাওয়ানোর জন্য। বাড়ির এই আদরের হুলো হারিয়ে যাওয়াতে মন খারাপ পরিবারের সকলের। দিনরাত চোখের জল ফেলে টোটো নিয়ে মাইকে প্রচার করে বীরনগরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। টানা ১৫ দিন দু’মুঠো ভাত মুখে তোলেননি। যতদিন তিনি তাঁর আদরের পোষ্যকে না পাবেন, ততদিন এভাবেই দিন কাটাবেন নির্মল বাবু।তাঁর এই পশুপ্রেম দেখে সকলেই হতবাক।
Mainak Debnath