আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচনে (Asansol Municipal Corporation) সবুজ ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। মাত্র সাতটি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি (BJP) । সেই সাতজনের মধ্যে তারকনাথ একজন। তিনি জিতেছেন ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা। জং ধরা লোহার দরজা দিয়ে ঢুকে তারকনাথের টালির বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। সর্বত্র দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। তার মধ্যে থেকেও নির্বাচনে জয় পাওয়ায় খুশি পরিবার। তারকনাথের স্ত্রী বললেন, "চন্দনা দি এসেছিলেন ওঁর প্রচারে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছিলেন। আমার স্বামী আগামী পাঁচ বছর এলাকার গরীব মানুষের কাঁচা বাড়ি পাকা করবে, গরীবদের দেখবে, আমার এই আশা।"
advertisement
আরও পডুন: কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে ফোন, এলগিন রোডের গেস্ট হাউসে মিলল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ
তবে এই জয় খুব একটা সহজ ছিল না। ভোটের ফলেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থীকে মাত্র চার ভোটে হারিয়েছেন তারকনাথ। জয়ের পর তাঁর মুখেও শুধুই চন্দনার কথা। তিনি বলছেন, "চন্দনাদি আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। উনি প্রচারে না এলে আমি জিততে পারতাম না। চন্দনাদির ভোটে লড়াই করার কথাও আমার ভীষণ মনে পড়েছে। ওঁর জয় আমাকেও ভাবতে শিখিয়েছে যে আমিও জিততে পারি।" ভোটের সময় চন্দনা ঘুরে গিয়েছিলেন তারকের বাড়ি, সেকথাও তিনি মনে করে বলছেন।
আরও পডুন: তৃণমূলে চলছে উচ্ছ্বাস, কিন্তু ফের দুশ্চিন্তায় পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল! কারণ কী জানেন?
তিনি এখন কাউন্সিলর, তবে তাতে পাল্টায়নি তাঁর চাকচিক্যহীন, সাদামাটা জীবন। মঙ্গলবার সকালেও তাঁকে দেখা গিয়েছে ভাঙা বাড়ির দরজা ঠেলে বেরিয়ে এসে টোটো পরিস্কার করতে, দেখা গিয়েছে যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যে ছুটে যেতে। জীবন পাল্টাবে না তাঁরা, তবে অনেকে দেখা করতে আসছেন তাঁর সঙ্গে, মানুষের জন্য কাজ করার এক ভবিষ্যৎ পড়ে আছে তাঁর সামনে, সেই দায়িত্ব এখন মন দিয়ে পালন করতে চান তারকনাথ।
Deepak Sharma