পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বেশি রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের পেপার মিল এলাকার একটি দোকানে দু'হাজার টাকার নোট ভাঙাতে গিয়েছিলেন ধৃত বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু নোটটি হাতে নিয়েই দোকানি বুঝতে পারেন সেটি জাল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তল্লাশি চালিয়ে ধৃতের থেকে আরও ১১ টি জাল ২০০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়। অর্থাৎ মোট ২২ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাইক চুরি করতে এসে ঠাঁই হল শ্রীঘরে
তবে এটাই সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে জাল নোট উদ্ধারের প্রথম ঘটনা নয়। গত ১৬ মার্চ কাশিয়া থেকে ৪২ হাজার টাকার জাল নোট সহ শেক মহিম ও মানব মজুমদার ওরফে রাহুল নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ২৩ মার্চ বিনপুর থানার কাঁকো এলাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার জাল নোট সহ বিশ্বজিৎ দাস (অন্য ব্যক্তি) নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর আবার জাল নোট সহ ধরা পড়লেন আরেকজন। ধৃতরা কোথা থেকে এই জাল নোট পাচ্ছে তা জানতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। এর আগে গত নভেম্বর মাসে বিনপুর বাজার এলাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকার জাল নোট সহ রঞ্জিত মহাপাত্র নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও লালগড়, ঝাড়গ্রাম ব্লক ও ওড়িশা সীমান্তবর্তী নয়াগ্রাম থেকেও জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। একের পর এক জাল নোট উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ঝাড়গ্রামের মানুষের মনে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল নোট কারবারের জাল কত দূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে তা জানার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তাঁরা।
রাজু সিং